জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে প্রকাশিত একাডেমিক ক্যালেন্ডার পেতে ক্লিক করুন।
হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে চাইলে এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” এ ভিজিট করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।
হযরতওয়ালা দা.বা. এর কিতাব অনলাইনের মাধ্যমে কিনতে চাইলে ভিজিট করুনঃ www.maktabatunnoor.com
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. এর নিজস্ব ওয়েব সাইট www.darsemansoor.com এ ভিজিট করুন।
তারিখ : ১৪ - ফেব্রুয়ারী - ২০১৮
জিজ্ঞাসাঃ
রামাযানের ২০ তারিখের পর আমরা বাংলাদেশের মুসলমানরা লাইলাতুল কদর পালন করে থাকি। যেমন প্রতি বেজোড় রাত যথা-২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ তারিখ। কিন্তু সৌদী আরবের তারিখ আমাদের তারিখের সাথে মিলে না। আমাদের দেশে যে তারিখে বেজোড় থাকে সে তারিখেই সৌদী আরবে থাকে জোড়। এখন প্রশ্ন হলো আমাদের দেশের তারিখটা ঠিক-না সৌদী আরবের তারিখ ঠিক? এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাই।
জবাবঃ
রামাযান শুরু ও শেষ হওয়া নির্ভর করে চাঁদ দেখার উপর। সুতরাং যে দেশে যে দিন রামাযানের চাঁদ দেখবে সে দেশে সেদিন থেকে রামাযানের শুরু হবে। আমাদের দেশে সৌদী আরব থেকে সাধারণতঃ একদিন পর রামাযানের চাঁদ দেখা গেলে শবে কদরও একদিন পরে হওয়া স্বাভাবিক। আল্লাহর জন্য এমনটি করতে কোন অসুবিধা নেই। হাদীস শরীফ এসেছে যে, যোহরের পূর্বে চার রাকা’আত সুন্নাতের জন্য আসমানের দরজা খুলে দেওয়া হয়। অথচ যোহরের সময় বিশ্বের সকল জায়গা একই সাথে হয় না। তাহলে বুঝতে হবে, আকাশের দরজা খুলে দেওয়া প্রত্যেক এলাকার নিজ নিজ সময় মোতাবেক হবে। তেমনিভাবে শবে কদরের বিষয়ে যদি এলাকার বিভিন্নতায় স্থানীয় তারিখের হিসাব বিভিন্ন সময় হয় তাহলে তা-ই প্রযোজ্য।[প্রমাণঃ মিশকাত ১:১৭৪# আবূ দাঊদ শরীফ ১:১৮০]