রমাযান ২০২২ এর ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করুন
জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে প্রকাশিত একাডেমিক ক্যালেন্ডার পেতে ক্লিক করুন।
হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে চাইলে এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” এ ভিজিট করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।
হযরতওয়ালা দা.বা. এর কিতাব অনলাইনের মাধ্যমে কিনতে চাইলে ভিজিট করুনঃ www.maktabatunnoor.com
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. এর নিজস্ব ওয়েব সাইট www.darsemansoor.com এ ভিজিট করুন।
তারিখ : ১৪ - ফেব্রুয়ারী - ২০১৮
জিজ্ঞাসা:
সালাতুল তাসবীহ আদায়ের নিয়ম কি?
জবাবঃ
সালাতুত তাসবীহ আদায়ের নিয়ম কিতাবে দু’ধরনের এসেছে:
প্রথমতঃ এই নামাযের জন্য নির্দিষ্ট কোন সূরা নেই। অন্যান্য নামাযের ন্যায় (যথা নিয়মে) সূরা ফাতিহার পর অন্য কোন সূরা মিলানোর পরে রুকূতে না গিয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় এ কালিমা ১৫ বার পড়তে হবে: سبحان الله و الحمد لله ولا اله الا الله و الله اكبر -
অতঃপর রুকূতে গিয়ে (রুকূর তাসবীহ পড়ে) আবার ওই কালিমাগুলো ১০ বার পড়বেন। অতঃপর রুকূ থেকে দাঁড়িয়ে পুনরায় ওই কালেমাগুলো ১০ বার তারপর সিজদায়ে গিয়ে সিজদার তাসবীহ পড়ে আবার ওই কালিমাগুলো ১০ বার পড়বেন। প্রথম সিজদা থেকে উঠে বসে, বসা অবস্থায় পুনরায় কালিমাগুলো ১০ বার পড়বেন। অতঃপর দ্বিতীয় সিজদায় গিয়ে পুনরায় ১০ বার পড়বেন। দ্বিতীয় সিজদা থেকে উঠে বসবেন এবং বসা অবস্থায় পুনরায় ১০ বার পড়বেন। এভাবে এক রাকা‘আতে তাসবীহটি ৭৫ বার পড়া হলো। প্রত্যেক রাকা‘আতে এই নিয়মেই তাসবীহটি পড়া হবে। এভাবে চার রাকা‘আতে তাসবীহটি (৭৫×৪) মোট ৩০০ বার পড়তে হবে। এই নামাযকে “সালাতুত তাসবীহ” বলা হয়। (প্রমাণঃ মিশকাত শরীফ ১:১১৭ # আবূ দাউদ শরীফ ১:১৮৪ # বেহেশতী যেওর ২:৩১)
দ্বিতীয়তঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক হতে এর আরেকটি নিয়ম বর্ণিত রয়েছে। তা হচ্ছে- প্রথম রাকা‘আতে উল্লেখিত দু‘আটি সূরা ফাতিহা ও কিরাআতের আগেই ১৫ বার এবং কিরাআতের আগে ১০ বার পড়বে। এ সুরতে দ্বিতীয় সিজদার পর বসে যে ১০ বার পড়ার কথা পূর্বের নিয়মে উল্লেখ করা হয়েছে, তার প্রয়োজন পড়বে না বরং দ্বিতীয় সিজদাতে ৭৫ বার শেষ হবে। দ্বিতীয় এ সুরতটি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জাফর সূত্রে বর্ণিত হাদীস শরীফেও উল্লেখিত রয়েছে। এ নামায দ্বারা সব ধরনের গুনাহ মাফ হয়ে যায়। এ নামায প্রতি সপ্তাহে একবার এবং তা জুম’আর দিন হওয়া অতি উত্তম। (প্রমাণ: ইহইয়ায়ে উলূমুদ্দীন ১:২১৪)