জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে প্রকাশিত একাডেমিক ক্যালেন্ডার পেতে ক্লিক করুন।
হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে চাইলে এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” এ ভিজিট করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।
হযরতওয়ালা দা.বা. এর কিতাব অনলাইনের মাধ্যমে কিনতে চাইলে ভিজিট করুনঃ www.maktabatunnoor.com
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. এর নিজস্ব ওয়েব সাইট www.darsemansoor.com এ ভিজিট করুন।
তারিখ : ১৪ - ফেব্রুয়ারী - ২০১৮
জিজ্ঞাসাঃ
সফরকালে পুরুষ লোক যে কোন অবস্থায় নামায পড়তে পারে। সাথে স্ত্রী লোক থাকলে সে নামায কিভাবে পড়বে, তাদের নামায তো পর্দা অবস্থায় পড়তে হয়?
জবাবঃ
নামায আল্লাহর এক মহান হুকুম যা পালন করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর উপর ফরয। কেউ যদি শরয়ী উজর ছাড়া নামায কাজা করে তাহলে তার জন্য কঠিন শাস্তির কথা হাদীস শরীফে উল্লেখ আছে। যেমন: হাদীসে আছে- “যে ব্যক্তি নামায ছেড়ে দিল, সে অবশ্যই কুফরী কাজ করল”। অন্য হাদীসে আছে, “যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে নামায ছেড়ে দিবে, আল্লাহ তা‘আলা তার আমল নষ্ট করে দিবেন এবং তার থেকে আল্লাহ তা‘আলার জিম্মাদারী উঠে যাবে, যতক্ষণ পর্যন্ত সে আল্লাহর দিকে ফিরে না আসে ততক্ষণ সে আল্লাহর যিম্মার বাইরে থাকবে”। (প্রমাণঃ আততারগীব ওয়াততারহীন ১:৩৮৫-৮৬)
উল্লেখ্য যে, “সফর” নামায কাজা করার জন্য শরয়ী কোন উজর নয়, তাই পুরুষ হোক বা মহিলা, মুকীম হোক বা মুসাফির, সর্বাবস্থায় প্রত্যেকেরই ওয়াক্তমত নামায পড়তে হবে। নামায কাজা করার কিছুতেই অনুমতি নেই। মেয়েরা বোরকা বা বড় চাদর পড়ে দাঁড়িয়ে মসজিদের এক কোনে বা যেখানে সুযোগ হয়, সেখানেই নামায আদায় করে নিবে। বোরকা পড়ার পর ফাঁকা জায়গাতেও নামায পড়তে কোন চিন্তা করবে না। তাই পর্দায় অজুহাত দেখিয়ে নামায তরক করার কোন অবকাশ নেই।