elektronik sigara

ইনশাআল্লাহ জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় দাওয়াতুল হকের মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬শে যিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী, ১৬ই জুন, ২০২৩ ঈসা‘য়ী, শুক্রবার (সকাল ৭টা থেকে শুরু হবে ইনশাআল্লাহ)।

হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে চাইলে এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” এ ভিজিট করুন।

হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।

হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. এর নিজস্ব ওয়েব সাইট www.darsemansoor.com এ ভিজিট করুন।

ইনশাআল্লাহ আগামী ২২শ শাউয়াল, ১৪৪৪ হিজরী মুতাবিক, ১৩ই মে, ২০২৩ ঈসায়ী তারিখ রোজ শনিবার বাদ ‘আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসার পুরাতন ভবনের (সাত মসজিদের সাথে) নীচ তলায় ইফতা বিভাগের রুমে বাস্তব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হজ্জের ট্রেনিং দেয়া শুরু করবেন।

জান্নাতের জন্য ইবাদত করা

তারিখ : ১৪ - ফেব্রুয়ারী - ২০১৮  

জিজ্ঞাসাঃ এক লেখক লিখেছেন, “যারা পরকালে দোযখ থেকে মুক্তি এবং জান্নাত লাভের উদ্দেশ্যে ইবাদত করেন, তারা শিরক করেন। তাদের ইবাদত বরবাদ হবে।” কুরআন-হাদীসের আলোকে লেখকের বক্তব্য কতটুকু ঠিক?

 


জবাবঃ


এরূপ কোন কথা কুরআন-হাদীসে পাওয়া যায় না। বরং কুরআনুল কারীমে মহান রাব্বুল ‘আলামীন জান্নাতের নিয়ামতের কথা বর্ণনা করেছেন, তারপর জান্নাত পাওয়ার জন্য আমল করতে আদেশ দিয়েছেন। যেমন সূরা সাফফাতে ইরশাদ হচ্ছে- “নিশ্চয় ইহা (জান্নাত পাওয়া) মহা সাফল্য, এরূপ সাফল্যের জন্য আমলকারীদের আমল করা উচিত।”


এ ছাড়া হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, হযরত মু’আয (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বর্ণনা করেন, তরজমাঃ “আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া-সাল্লামকে বললাম- হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এরূপ কিছু আমলের কথা বলে দিন যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে এবং জাহান্নাম থকে দূরে রাখবে।” রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বলরেন, “নিশ্চয় তুমি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন করেছ। ইহা ঐ ব্যক্তির জন্য সহজ- যার জন্য আল্লাহ পাক সহজ করে দেন। এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বললেন- আল্লাহকে এক বলে স্বীকার করবে। তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না এবং নামায কায়ম করবে। যাকাত আদায় করবে। রামাযানের রোযা রাখবে এবং হজ্জ করবে।”


অত্র হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া-সাল্লাম জান্নাত পাওয়ার ও জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য আমল বলে দিলেন। যদি জান্নাত পাওয়ার উদ্দেশ্যে এবং জাহান্নাম থেকে বাঁচার উদ্দেশ্যে ইবাদত করলে শিরক হতো, তাহলে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া-সাল্লাম মু’আযকে (রাযিঃ) অবশ্যই বলে দিতেন যে, তুমি জান্নাত পাওয়ার এবং জাহান্নাম থেকে বাঁচার উদ্দেশ্যে ইবাদত করো না। কেননা, এটা শিরক। যেহেতু রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া-সাল্লাম একথা বলেননি, তাই এই হাদীসই এবং এ ধরণের আরও অনেক হাদীস উক্ত লেখকের কথা ভিত্তিহীন প্রমাণ করে। তবে একথা বলা যেতে পারে যে, প্রতিটি মু’মিন জান্নাত ও জাহান্নামের উর্ধ্বে ওঠে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে ইবাদত করতে পারলে সেটা ইখলাসের অনেক উঁচু স্তর হবে। কেননা, আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টি অর্জন হয়ে গেলে জান্নাতও হাসিল হবে এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ হবে। অবশ্য সর্ব অবস্থায় আল্লাহর দরবারে জান্নাতের কামনা এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের জন্য দু’আ করতে হবে। এটা রাসূলের সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া-সাল্লাম নির্দেশ। রামাযানে যে দু’টি কাজ বেশী বেশী করার জন্য রাসূলুল্লাহ পরামর্শ দিয়েছেন। এ দু’টিই হল- জান্নাতের জন্য দু’আ এবং জাহান্নাম থেকে পরিত্রানের জন্য দু’আ করা।


[সূরা সাফফাত, ৬০-৬১ # মা‘আরিফুল কুরআন, ৭/৪৩৩ # মিশকাত শরীফ, ১/১৪]