ইনশাআল্লাহ জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় দাওয়াতুল হকের মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬শে যিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী, ১৬ই জুন, ২০২৩ ঈসা‘য়ী, শুক্রবার (সকাল ৭টা থেকে শুরু হবে ইনশাআল্লাহ)।
হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে চাইলে এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” এ ভিজিট করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. এর নিজস্ব ওয়েব সাইট www.darsemansoor.com এ ভিজিট করুন।
ইনশাআল্লাহ আগামী ২২শ শাউয়াল, ১৪৪৪ হিজরী মুতাবিক, ১৩ই মে, ২০২৩ ঈসায়ী তারিখ রোজ শনিবার বাদ ‘আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসার পুরাতন ভবনের (সাত মসজিদের সাথে) নীচ তলায় ইফতা বিভাগের রুমে বাস্তব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হজ্জের ট্রেনিং দেয়া শুরু করবেন।
তারিখ : ১৪ - ফেব্রুয়ারী - ২০১৮
জিজ্ঞাসাঃ
পরকালে জান্নাতী ও জাহান্নামীদের দেহের আকৃতি গঠন কি একই রকমের হবে নাকি পার্থক্য থাকবে?
জবাবঃ
পরকালে জান্নাতী ও জাহান্নামীদের দেহের আকৃতি এক ধরণের হবে না। বরং ভিন্ন ভিন্ন হবে। যেমন- জান্নাতীদের শরীর ষাট হাত লম্বা হবে এবং সে অনুপাতে অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ হবে। আর জাহান্নামীদের শরীর কত গজ লম্বা হবে তার স্পষ্ট বর্ণনা আমরা কোন হাদীসে পাইনি। তবে হুযূর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া-সাল্লাম তাদের দেহের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের বর্ণনা দিয়েছেন, তার দ্বারা অনুমান করা যায় যে, জাহান্নামীদের দেহ বিশাল হবে। যাতে করে তারা বেশী করে আযাবে ভুগতে পারে। যেমন- হযরত আবূ হুরাইরা রাযি. বর্ণনা করেছেন যে, হুযূর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া-সাল্লাম ইরশাদ করেন- কাফেরদের এক একটা দাঁত উহুদ পাহাড়ের মত বড় হবে এবং রানগুলো হবে বাইযা পাহাড়ের মত বৃহৎ, আর তাদের বসার স্থান হবে দ্রুত বেগে তিন দিন তিন রাত চলার পথের সমান। হযরত ইবনে উমর রাযি. হতে বর্ণিত আছে, হুযূর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া-সাল্লাম ইরশাদ করেন কাফিরের জিহ্বা টেনে তিন মাইল অথবা ছয় মাইল পর্যন্ত লম্বা করে বিছানো হবে। মানুষ তার উপর দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করবে। হযরত আবূ হুরাইরা রাযি. থেকে অন্য একটি হাদীসে বর্ণিত আছে, হুযূর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া-সাল্লাম ইরশাদ করেন- কাফিরদের চামড়ার পুরুত্ব হবে ৪২ হাত। দাঁত হবে উহুদ পাহাড়ের মত, বসার স্থান হবে মক্কা হতে মদীনা পর্যন্ত পথের সমান।
[প্রমাণঃ ফাতাওয়া আযীযী, ৩০ # তিরমিযী শরীফ, ২/৮৫ # হায়াতে আদম, ৫০]