জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে প্রকাশিত একাডেমিক ক্যালেন্ডার পেতে ক্লিক করুন।
হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে চাইলে এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” এ ভিজিট করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।
হযরতওয়ালা দা.বা. এর কিতাব অনলাইনের মাধ্যমে কিনতে চাইলে ভিজিট করুনঃ www.maktabatunnoor.com
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. এর নিজস্ব ওয়েব সাইট www.darsemansoor.com এ ভিজিট করুন।
তারিখ : ১৪ - ফেব্রুয়ারী - ২০১৮
জিজ্ঞাসাঃ
আমাদের এলাকার প্রচলিত আছে যে, মৃত ব্যক্তির জানাযার নামায আদায় করার পরপরই কবরস্থ করার পূর্বে সবাই সম্মিলিতভাবে দু‘আ করে থাকেন। এই দু‘আর প্রথা ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ কিনা? কোন কোন আলেম বলেন- “জানাযার নামায আাদয়ের পরপরই কবরস্থ করার পূর্ব পর্যন্ত দু‘আ বৈধ নয়”। আবার কোন কোন আলেম বলেন- “জানাযার নামাযের সালাম ফিরানোর পরপরই কবরস্থ করার পূর্বে কিছু পড়াশুনা এবং কবরস্থান জিয়ারত করে দু্’আ করা বৈধ আছে।” সঠিক সমাধান চাই।
জবাবঃ
জানাযা পড়াটাই প্রকৃতপক্ষে মাইয়্যিতের জন্য মুসলমানদের তরফ থেকে আল্লাহ তা‘আলার নিকট উৎকৃষ্ট সম্মিলিত দু‘আ। জানাযার দ্বিতীয় তাকবীরের পর দু‘আ পড়ে মাইয়্যিতের জন্য সকলে মিলে আল্লাহের কাছে মাগফিরাত কামনা করে থাকে। কাজেই জানাযা পড়ে পুনরায় তার জন্য সম্মিলিত দু‘আ করা নিষ্প্রয়োজন এবং এ ধরনের দু‘আ করার কথা কুরআন-হাদীসে সাবিত নেই। বরং জানাযার পরে দু‘আ করার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কারণ, এতে মাইয়্যিতকে দাফন করতে দেরী হয়ে যায়, যা শরী‘আতে নিষেধ। এই একই কারণে জানাযার পর মাইয়্যিতের চেহারা দেখানো নিষেধ করা হয়েছে। কারণ, এতেও দাফনে দেরী হয়।
উল্লেখ্য, জানাযার নামায পড়ে সকলে মিলে লাশ সামনে নিয়ে আবার দু‘আ করার অর্থ হবে- আল্লাহ প্রদত্ত নিয়মের দু‘আর উপর সন্তুষ্ট না হয়ে নিজেরা একটা নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করে নেয়া যা শরী‘আতে নিন্দনীয় ও বিদ‘আত। তবে সম্মিলিতভাবে না করে প্রত্যেকে মনে মনে দু‘আ করতে কোন অসুবিধা নাই। তেমনিভাবে কবর দেয়ার পর যিয়ারত করেও দু‘আ করতে পারে।(প্রমাণঃ ফাতাওয়া শামী ২:২১২ # ফাতাওয়া রহীমিয়া ১;২৫৬# আহসানুল ফাতাওয়া ১:৩৩৬)