হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে চাইলে এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” এ ভিজিট করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. এর নিজস্ব ওয়েব সাইট www.darsemansoor.com এ ভিজিট করুন।
তারিখ : ১৪ - ফেব্রুয়ারী - ২০১৮
জিজ্ঞাসাঃ
আমেরিকা এবং পাশ্চাত্য জগত সারা বিশ্বে খৃষ্টান ধর্ম প্রচারের ব্যাপারে এত তৎপর কেন ? তারা ইসলামকে কেন এত ভয়ের নযরে দেখে ?
জবাবঃ
পাশ্চাত্য জগত সারা বিশ্বে তাদের প্রভুত্ব ও কর্তৃত্ব বিস্তার ও প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্নে বিভোর। আর কমিউনিজমের মৃত্যুর পর এখন তারা একমাত্র ইসলাম ও মুসলমানদেরকে তাদের প্রতিপক্ষ ভাবছে। সুতরাং বিশ্ব প্রভুত্ব কায়িম করতে হলে তাদের একমাত্র পথ সারা বিশ্বে থেকে ইসলামকে মুছে ফেলে খৃষ্টবাদ কায়িম করা। কারণ খৃষ্টানরাই তাদের একান্ত নিজস্ব লোক। এ জন্যই শিক্ষা ও সেবার মুখোশ পড়ে পৃথিবীর সকল এলাকায় বিভিন্ন ধর্মের লোকদের তারা খৃষ্টান বানাচ্ছে। এ কাজে তাদের নারী-পুরুষ সকলেই তৎপর। একজন মুসলমান তার সহীহ দীন প্রচারে যতটুকু না তৎপর, তার চেয়ে হাজার গুণ বেশী তৎপর একজন খৃষ্টান। কারণ, তারা সকলেই বিশ্ব প্রভুত্ব মনে প্রাণে কামনা করে। আর তাদের এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে একমাত্র বাধা হচ্ছে দীনে হক ইসলাম এবং মুসলমানগণ। অন্যসব ধর্ম বাতিল। কাজেই সেগুলোকে আয়ত্বে আনা তাদের নিকট কোন ব্যাপার নয়। ইসলাম ধর্মই তাদের একমাত্র আদর্শিক প্রতিপক্ষ। সেহেতু ইসলামের উপর আঘাত হানা ও ইসলামকে ধ্বংস করা তাদের জন্য সবচেয়ে জরূরী কর্তব্য হয়ে পড়েছে। এ জন্যই সারা দুনিয়াতে তারা ইসলামকে মিটানোর জন্য এবং খৃষ্টবাদ ও নাস্তিক্যবাদ কায়িম করার জন্য সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এ লক্ষ্যে বিশ্বের শিক্ষা-সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাজনীতি ইত্যাদিতে তারা সরাসরি দখল দিতে সচেষ্ট। যাতে করে পর্যায়ক্রমে ইসলামের শিক্ষা-সংস্কৃতি, তাহযীব-তামাদ্দুনকে আস্তে আস্তে খতম করে দিয়ে তাদের নিজস্ব কৃষ্টি কালচার, বেহায়াপনা ও পশুত্ব সব জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করা যায়। আর এ একই উদ্দেশ্যে বিশ্বের হিন্দু, বৌদ্ধ ও ইয়াহুদী ইত্যাদি কাফিরদেরকে মুসলিম ধ্বংস কাজে লেলিয়ে দিয়ে তারা পর্দার আড়াল থেকে পরোক্ষ মদদ দিয়ে যাচ্ছে। আর মুসলমানদের সান্তনা ও ধোকা দেয়ার জন্য মাঝে মাঝে জাতিসংঘের মাধ্যমে কিছু নিন্দা প্রস্তাব বা মায়াকান্না দেখাচ্ছে। বার্মা, কাশ্মীর, ফিলিস্তিন ও বসনিয়ার দিকে লক্ষ্য করলে এ সত্য দ্বিপ্রহরের ন্যায় উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে। আর কোন প্রমাণের প্রয়োজন পড়বে না।