elektronik sigara

ইনশাআল্লাহ জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় দাওয়াতুল হকের মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬শে যিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী, ১৬ই জুন, ২০২৩ ঈসা‘য়ী, শুক্রবার (সকাল ৭টা থেকে শুরু হবে ইনশাআল্লাহ)।

হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে চাইলে এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” এ ভিজিট করুন।

হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।

হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. এর নিজস্ব ওয়েব সাইট www.darsemansoor.com এ ভিজিট করুন।

ইনশাআল্লাহ আগামী ২২শ শাউয়াল, ১৪৪৪ হিজরী মুতাবিক, ১৩ই মে, ২০২৩ ঈসায়ী তারিখ রোজ শনিবার বাদ ‘আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসার পুরাতন ভবনের (সাত মসজিদের সাথে) নীচ তলায় ইফতা বিভাগের রুমে বাস্তব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হজ্জের ট্রেনিং দেয়া শুরু করবেন।

এই কিতাব অর্থাৎ কুরাআন শরিফ খোদাভীরুদের জন্য পথপ্রদর্শক; যারা বিশ্বাস স্থাপন করে অদৃশ্য বস্তসমূহের প্রতি এবং নামাজ কায়েম রাখে, আর আমি তাদেরকে যা প্রদান করেছি তা থেকে খরচ করে এবং তারা এমন যে একীন রাখে (ঈমান আনে) ঐ কিতাবের প্রতিও যা আপানার প্রতি অবর্তীর্ণ হয়েছে আর ঐ সমস্ত কিতাবের প্রতি যা আপনার উপরে অবরতীর্ণ হয়েছে এবং আখেরাতের প্রতিও তারা দৃঢ় বিশ্বাস রাখে। তারাই তাদের প্রভু প্রাপ্ত হেদায়াতের উপর রয়েছে এবং তারাই সফলকাম। (সূরা বাকারাঃ১-৫)

ফায়দাঃ

এই আয়াত শরীফে কয়েকটি বিষয় লক্ষণীয়–

কঃ খোদাভিরুদের জন্য পথপ্রদর্শনকারী অর্থাৎ যে মালিককে ভয় করে না মালিককে মালিক মনে করে না এবং সে আপন সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে অজ্ঞ – এই রূপ ব্যক্তি কুরআন পাকের প্রদর্শিত পথ কিভাবে দেখতে পাবে? পথ সেই ব্যক্তিই দেখতে পায় যার মধ্যে দেখার যোগ্যতা থাকে। যার মধ্যে দেখর মাধ্যম স্বরূপ চোখই নাই, সে কি দেখবে? তদ্রুপ যার অন্তরে মালিকের ভয়ই নাই সে মালিকের হুকুমের কি পরোয়া করবে ?

খঃ নামাজকে কায়েম রাখা হলো নামাযকে নামাযের আদবও শর্তসমূহ প্রতি লক্ষ্য রেখে যত্নও গুরুত্বসহকারে  আদায় করে! এর বিস্তারিত বিবরণ ফাযায়েলে নামায কিতাবে বর্ণিত হয়েছে! তাতে হযরত ইবনে আব্বাস রাযি. এর এই উক্তি বর্ণনা করা হয়েছে যে নামায কায়েম করার অর্থ এর রুকু সিজদা উত্তমরূপে আদাই করা, পরিপূর্ণ মনোযোগ ও খুশু-খুযূ সহকারে পড়া। কাতাদাহ রাযি. বলেন, নামায কায়েম করার অর্থ– এর সময়ের হেফাজত করা এবং উযূ, রুকু ও সিজদা উত্তমরূপে আদায় করা।

গঃ সফলকাম হওয়া বহু উচ্চপর্যায়ের জিনিস! সফলতা শব্দটি যেখানে উল্লেখিত হয় তা দীনও দুনিয়ার যাবতীয় উন্নতি ও কামিয়াবি অর্থে ব্যবহৃত হয়। ঈমাম রাগেব রহ. লিখেছেন, দুনিয়াবি সফলতা ঐ সমস্ত গুণাবলী অর্জন করার নাম যা দ্বারা দুনিয়ার জীবন উন্নত হয়ে যায়! আর তা হলো স্থায়িত্ব অমুখাপেক্ষিতা ও সম্মান। আর আখেরাতের সফলতা হলো চার জিনিসঃ এমন স্থায়িত্ব যা কখনও শেষ হয় না, এমন অমুখাপেকক্ষিতা যার মধ্যে অভাবের লেশমাত্রও নাই, এমন সম্মান যাহার মধ্যে কোন প্রকার অপমান নাই, এমন ইলম যার মধ্যে মূর্খতার দখল নাই! উক্ত আয়াতে সফলতা শব্দটি ব্যপক অর্থে বলা হয়েছে কাজেই এর মধ্যে দীন ও দুনিয়া উভয়েরই সফলতা এসে গেছে।