রমাযান ২০২২ এর ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করুন
জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে প্রকাশিত একাডেমিক ক্যালেন্ডার পেতে ক্লিক করুন।
হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে চাইলে এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” এ ভিজিট করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।
হযরতওয়ালা দা.বা. এর কিতাব অনলাইনের মাধ্যমে কিনতে চাইলে ভিজিট করুনঃ www.maktabatunnoor.com
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. এর নিজস্ব ওয়েব সাইট www.darsemansoor.com এ ভিজিট করুন।
লেখক: মুফতী মনসূরুল হক দা.বা. বিভাগ : বই ও আর্টিকেল তারিখ : ১৫ - অক্টোবর - ২০১৭
মাদরাসার দায়িত্বশীলগণ বিশেষত জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়ায় শিক্ষা সমাপনকারী উলামায়ে কেরাম মাদরাসার পার্শ্ববর্তী জনসাধারণকে নিম্মলিখিত পদ্ধতিতে দীনদার বানানোর ফিকির করবেন।
১. মাদরাসায় প্রত্যেক মাসে নির্দিষ্ট তারিখে দা’ওয়াতুল হকের মাসিক ইজতিমা করা। কেন্দ্রের পক্ষ হতে মাদরাসা এলাকায় প্রতি মাসে চারটি গাশতী মাহফিল করা। প্রতি ছয় মাসে একবার আঞ্চলিক উলামা সম্মেলনের আয়োজন করা। মাদরাসার সকল ছুটির সময় ছাত্রদেরকে বাস্তব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দীনী কাজের প্রোগ্রাম দেয়া এবং মাদরাসা খোলার পর তাদের কাছ থেকে শ্রেণী ভিত্তিক লিখিত ও মৌখিক কারগুযারী গ্রহণ করা।
২. প্রতি বৃহস্পতিবার দরসের পর থেকে শুক্রবার আসরের পূর্ব পর্যন্ত তালিবে ইলমদের চব্বিশ ঘণ্টার জামা‘আত বের করা। প্রতিদিন বা’দ ইশা হায়াতুস সাহাবা অথবা হেকায়াতে সাহাবা থেকে তা’লীম করা। প্রতি ছুটিতে ছাত্র-শিক্ষকদের কমপক্ষে তিনদিনের জন্য দা’ওয়াত ও তাবলীগের মেহনতে বের হওয়া এবং দীর্ঘ ছুটিতে চিল্লার জন্য তাশকীল করা।
৩. মাদরাসার পার্শ্ববর্তী মহল্লাগুলো উস্তাদগণের মধ্যে ভাগ করে দেয়া। তাঁরা সম্ভব হলে প্রতিদিন, অন্তত সপ্তাহে তিনদিন নিজ মহল্লায় গিয়ে কমপক্ষে আধা ঘণ্টা দীনী তা’লীম করবেন।
৪. প্রত্যেক মাদরাসায় তিন মাসের দীনী তা’লীমের কোর্স চালু করা। এই কোর্সে জনসাধারণকে কুরআনের বিশুদ্ধ তা’লীম ও দীনের জরুরী ইলম শিক্ষা দেয়া হবে।
৫. প্রত্যেক মাদরাসায় ইসলামী পাঠাগার চালু করা। এই পাঠাগারে দেওবন্দী আঁকাবির ও হক্কানী উলামায়ে কেরামের রচিত গ্রন্থাবলী একাধিক কপি করে রাখা হবে। একজন উস্তাদকে এর তদারকির দায়িত্ব দেয়া হবে। তিনি নির্দিষ্ট খাতায় নাম-ঠিকানা লিখে জনগণের মাঝে বই/কিতাব বিতরণ করবেন এবং পাঠ শেষে তা উসুল করবেন। তাছাড়া কেউ দীনী বই কিনে সংগ্রহ করতে চাইলে এই পাঠাগারে তারও ব্যবস্থা রাখা হবে।
৬. প্রত্যেক মাদরাসায় ফাতাওয়া বিভাগ চালু করা। এ বিভাগ থেকে জনগণকে জরুরী মাসাইলের সমাধান দেয়া। এ কাজে কোন বিজ্ঞ মুফতী সাহেবকে দায়িত্ব প্রদান করা।
বি.দ্র. উল্লিখিত কাজগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে প্রতিটি কাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষককে দায়িত্ব প্রদান করা। দায়িত্বশীলগণ তিন মাস পরপর নিজ নিজ কাজের অগ্রগতির লিখিত রিপোর্ট পেশ করবেন।
এভাবে কাজ করলে আশা করা যায়, জনগণের প্রতি মাদরাসাওয়ালাদের যে দায়িত্ব-কর্তব্য তার বেশির ভাগই পালন হবে ইনশাআল্লাহ।