elektronik sigara

হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে চাইলে এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” এ ভিজিট করুন।

হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।

হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. এর নিজস্ব ওয়েব সাইট www.darsemansoor.com এ ভিজিট করুন।

রোযা অবস্থায় ইনহিলার ব্যবহার

তারিখ : ১৪ - ফেব্রুয়ারী - ২০১৮  

জিজ্ঞাসাঃ

ইনহিলার নামক এক প্রকার ঔষধের শিশিতে চাপ দিলে ধোঁয়ার মত এক প্রকার গ্যাস বের হয়। এজমা বা হাঁপানীর রোগী তার শ্বাসকষ্ট দূর করার জন্য এ গ্যাসের ধোঁয়া মুখ দিয়ে ফুসফুসের ভিতরে টেনে নেয়। যার ফলে এজমা রোগীর শ্বাসকষ্ট কমে যায়। রোযা অবস্থায় এরুপ ইনহিলার গ্রহণ করা যাবে কি-না?


জবাবঃ


ইনহিলারের গ্যাসের ধোঁয়া এবং আগুন ও বিড়ি সিগারেটের ধোঁয়া যেহেতু একই ধরনের। সুতরাং এগুলোর হুকুমও একই ধরনের।  তাই যেমন রোযা অবস্থায় যদি কেউ বিড়ি-সিগারেট পান করে বা রোযার কথা স্মরণ থাকা অবস্থায় ধোঁয়া মুখ দিয়ে পেটের ভিতর টেনে নেয়, তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। তেমনি রোযা রেখে ইনহিলার ব্যবহার করলেও রোযা ভেঙ্গে যাবে। কোন ব্যক্তি যদি হাঁপানী অথবা এজমার কারণে ইনহিলার গ্রহণে বাধ্য হয়, তাহলে তার জান বাঁচানোর জন্য রোযা ভঙ্গ করার অনুমতি আছে। তবে উক্ত পরে রোযা কাযা করতে হবে। আর যদি কোন ব্যক্তির শ্বাস-প্রস্বাসের কষ্ট হয় এবং এটা স্থায়ী রোগ হয়ে যায়, কখনো ভাল হওয়ার সম্ভবানা না থাকে এবং পরে রোযা কাযা করাও সম্ভব না হয় তাহলে সে ব্যক্তি প্রতিটি রোযার জন্য একটি করে ফিদিয়া অর্থাৎ, পৌণে দু’সের গম, আটা বা তার মূল্য পরিমাণ টাকা গরীবদেরকে দান করবে অথবা একেক রোযার বদলে প্রত্যেক গরীবকে দু’বেলা খাবার খাওয়াবে।


[প্রমাণঃ ফাতাওয়া শামী ২:৩৯৫# ইমদাদুল ফাতাওয়া ২:৩৯৫, দারুল উলূম ৬:৪১৮]