ইনশাআল্লাহ জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় দাওয়াতুল হকের মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬শে যিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী, ১৬ই জুন, ২০২৩ ঈসা‘য়ী, শুক্রবার (সকাল ৭টা থেকে শুরু হবে ইনশাআল্লাহ)।
হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে চাইলে এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” এ ভিজিট করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. এর নিজস্ব ওয়েব সাইট www.darsemansoor.com এ ভিজিট করুন।
ইনশাআল্লাহ আগামী ২২শ শাউয়াল, ১৪৪৪ হিজরী মুতাবিক, ১৩ই মে, ২০২৩ ঈসায়ী তারিখ রোজ শনিবার বাদ ‘আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসার পুরাতন ভবনের (সাত মসজিদের সাথে) নীচ তলায় ইফতা বিভাগের রুমে বাস্তব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হজ্জের ট্রেনিং দেয়া শুরু করবেন।
তারিখ : ১৪ - ফেব্রুয়ারী - ২০১৮
জিজ্ঞাসাঃ
জুম‘আর ফরযের পর সুন্নাতে মুআক্কাদাহ নামায ৪ রাকা‘আত নাকি ৬ রাকা‘আত পড়তে হবে? আর তা পড়ার নিয়ম কি?
জবাবঃ
জুম‘আর নামাযের সুন্নাতে বা’দিয়া অর্থাৎ ফরযের পরবর্তী সুন্নত সম্বন্ধে হানাফী উলামাদের মধ্যে মতভেদ আছে। ইমাম আবূ হানীফা রহ. ৪ রাকা‘আত এবং সাহেবাইন ৬ রাকা‘আত বলেছেন। দু’টি কারণে ৬ রাকা‘আত প্রাধান্য দেয়া হয় প্রথমতঃ ৬ রাকা‘আত পড়লে, ৪রাকা‘আত পড়া হয়ে যায়। কিন্তু ৪ রাকা‘আত পড়লে ৬ রাকা‘আত পড়া হয় না। অতএব, ৬ রাকা‘আতের উপর আমল করলে, উভয় ক্বওলের উপর আমল হয় এবং মতভেদ থেকে বাঁচা যায়। (প্রমাণঃ আল-বাহরুর রায়িক ২:৪৯পৃঃ# ফাতাওয়া দারুল উলূম ৫:১৩৬ আযীযুল ফাতাওয়া ১:২৪০)
দ্বিতীয়তঃ ফিকাহ এর উসূল এই যে, ইবাদতের মধ্যে সর্বদাই আবূ হানীফা রহ. এর ক্বওলের উপর আমল করতে হয়। কিন্তু যদি আবূ হানীফা রহ. এর ক্বওল অন্য মাযহাবের মুজতাহিদদের ক্বওলের সাথে মিলে যায়, তবে সাহেবাইনের ক্বওলের উপর আমল করা হয়। আর এই ক্ষেত্রে ইমাম আবূ হানীফা রহ.-এর ক্বওল ইমাম শাফেয়ী রহ. এর একটি ক্বওলের সাথে মিলে যায়। অতএব, সাহেবাইনের ক্বওলের উপর আমল করা বাঞ্ছনীয়। এই ৬ (ছয়) রাকা‘আত পড়ার তারতীব হল-প্রথমে ৪ রাকা‘আত ও পরে দু’রাকা‘আত পড়বে। (প্রমাণঃ দরসে তিরমিযী ২:২৯)