elektronik sigara

ইনশাআল্লাহ জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় দাওয়াতুল হকের মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬শে যিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী, ১৬ই জুন, ২০২৩ ঈসা‘য়ী, শুক্রবার (সকাল ৭টা থেকে শুরু হবে ইনশাআল্লাহ)।

হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে চাইলে এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” এ ভিজিট করুন।

হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।

হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. এর নিজস্ব ওয়েব সাইট www.darsemansoor.com এ ভিজিট করুন।

ইনশাআল্লাহ আগামী ২২শ শাউয়াল, ১৪৪৪ হিজরী মুতাবিক, ১৩ই মে, ২০২৩ ঈসায়ী তারিখ রোজ শনিবার বাদ ‘আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসার পুরাতন ভবনের (সাত মসজিদের সাথে) নীচ তলায় ইফতা বিভাগের রুমে বাস্তব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হজ্জের ট্রেনিং দেয়া শুরু করবেন।

বর্তমান “এনজিও”-ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর অভিন্ন রূপ

তারিখ : ১৪ - ফেব্রুয়ারী - ২০১৮  

জিজ্ঞাসাঃ

উলামাগণ সাধারণতঃ বর্তমান অমুসলিমদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এনজিওগুলোকে ভারতবর্ষের তদানীন্তন ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানীর সাথে তুলনা করে থাকেন। এটা কি বাস্তবিক ?

 


জবাবঃ


ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানীর সাথে বর্তমান এনজিওদের সবদিক দিয়ে মিল ও সামঞ্জস্য রয়েছে। যেন একই গাছের ২টি মাকাল ফল-যার উপরিভাগের দৃশ্য কতই না সুন্দর মনোরম আর ভিতরের অবস্থার দিকে একটু দৃষ্টি পড়লেই রুচি নষ্ট হয়ে যায়।


সেই সামঞ্জস্যর কয়েক দিক নিম্নে পেশ করা হলঃ


(১) ইন্ডিয়া কোম্পানী এসেছিল বাণিজ্যের নামে, উদ্দেশ্য ছিল দেশের কতৃত্ব দখল। এনজিওরা এসেছে শিক্ষা   ও সেবার মুখোশ পড়ে। উদ্দেশ্য দেশের কতৃত্ব দখল।


(২) ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানী স্থানে-স্থানে কুঠি তৈরি করেছিল। সেগুলো পরে অস্ত্রাগার ও সেনা ছাউনীতে রূপান্তরিত করেছিল।


এনজিও’রাও দেশের বিভিন্ন স্থানে কুঠি তৈরি করেছে। এনজিও কর্মীরা এ সকল কুঠিতে থাকে। নীচ তলায় পুরুষ ও উপর তলায় মহিলা কর্মীরা। সেখানকার পরিবেশ ও হাবভাব বড়ই সন্দেহজনক।


(৩) ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানী ‍বিভিন্ন প্রলোভনের মাধ্যমে বড় বড় এলাকায় তাদের তাবেদার তৈরি করেছিল। যেমন- জগত শেঠ, উর্মিচাঁদ ও মানিক চাঁদ।


এনজিওরাও এদেশে তাদের তাবেদার শ্রেণী তৈরি করার জন্য ধনাঢ্য, বুদ্ধিজীবী ও বড় বড় পেশার লোকদের প্রলোভন দিয়ে নিজেদের এজেন্ট বানাচ্ছে। আর তারা বিভিন্ন দল-উপদল গড়ে তুলছে।


(৪) ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানী নবাবদের সরকারী বড় বড় কর্মকর্তাদের বড় বড় পদ ও মোটা অংকের বিনিময়ে খরিদ করেছিল।


এনজিওরাও আপাততঃ মোটা অংক এবং রিটায়ার্ডের পর এনজিও’র বড় বড় পদের প্রলোভন দেখিয়ে সরকারী কর্মকর্তাকে খরিদ করছে।


(৫) ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানী নিজেদের সুবিধার জন্য মুসলমানদের চাকুরী না দিয়ে বেছে বেছে বিশেষ গোষ্ঠির লোকদেরকে চাকুরী ‍দিতো।


এনজিওরাও প্রায় নাস্তিক, খৃষ্টান, বামপন্থী নেতা ও ছাত্র সংগঠনের বিশেষ বিশেষ সদস্য, হিন্দু বা হিন্দু মনোভাবাপন্ন মুসলমানদেরকে চাকুরী ‍দিচ্ছে।


(৬) ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানী ব্যবসার নামে শোষণ করেছিল। এনজিওরাও ২০% থেকে ৬০% হারে সুদ নিয়ে শোষণ করছে। কেউ সময়মত ঋণ পরিশোধে অপারগ হলে তার উপর মানবাধিকার লংঘনের পর্যায়ের নির্যাতন চালাচ্ছে।


(৭) ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানী গরীব কৃষকদের নিজেদের স্বার্থে নীল চাষে বাধ্য করেছিল। এনজিওরাও ‍নিজেদের লাভবান হওয়ার জন্য গরীব লোকদের দ্বারা তুঁত গাছের চাষ করাচ্ছে।


(৮) ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানী বহু স্থানে জায়গা খরিদ করেছিল। এনজিওরাও দেশের বিভিন্ন স্থানে এ যাবত বহু জায়গা খরিদ করেছে । যার হিসাব সম্ভবত: সরকারও রাখে না।


(৯) ঔপনিবেশিক কোম্পানী ধর্মীয় মূল্যবোধ খতম করার জন্য মাদ্রাসাগুলো বন্ধ করেছিল এবং ওলামাদেরকে ওহাবী ও ধর্ম ব্যবসায়ী ইত্যাদি আখ্যা ‍দিত।


এনজিওরাও ধর্মীয় মূল্যবোধ খতম করার লক্ষ্যে উলামা সমাজকে হেয় প্রতিপন্ন করার তাদেরকে ধর্মান্ধ, ধর্ম ব্যবসায়ী ও ফতোয়াবাজ আখ্যা ‍দিচ্ছে।


(১০) ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানীর খুঁটি ছিল ফ্রান্স, ইটালী ও বৃটেনে। এনজিওদের খুঁটিও ফ্রান্স, ইটালী ও আমেরিকায়।


সুতরাং লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের ‍দিক ‍দিয়ে ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানী ও বর্তমান ইহুদী খৃষ্টানদের মদদ পুষ্ট এনজিওর মধ্যে ‍কোন ব্যবধান নেই। এদেশের লোক সমাজ যাতে করে ওদের চিনতে না পারে এবং ওদের কুমতলব যাতে করে ফাঁস না হয়ে যায়, এজন্য তারা শাড়ি বদল করেছে মাত্র। কিন্তু বউ সেই একটাই। লেবাস বদল করার কারণে আজ অনেকেই না চিনে এদেরকে কল্যাণকর মনে করছে। কিন্তু ভুক্তভোগী উলামায়ে কিরাম ওদের ঠিকই ‍চিনেছেন। তাই তারা শত বাধা বিপত্তি, জেল-জুলুম বরদাস্ত করেও দেশ ও জাতীয় স্বার্থে দেশবাসীর সামনে ওদের মুখোশ উন্মোচন করে দিয়েছেন।


এজন্যই এনজিওরা ওলামাগণের বিরূদ্ধে দারুন ক্ষ্যাপা। আর সে কারণেই ওরা ওলামাগণকে মৌলবাদী ও ফতোয়াবাজ ইত্যাদি বলে গালি ‍দিচ্ছে। তাদের সাথে এদেশীয় কিছু নির্বোধ, হুজগী বা দালাল টাইপের লোক পত্র-পত্রিকায় আলেম-উলামাকে ফতোয়াবাজ বলছে। এই নির্বোধ বা দালাল অনুচরদের হিদায়াত করা এবং বুঝানো দেশপ্রেমিক সকল নাগরিকের দায়িত্ব। শুধু উলামায়ে কিরামের দায়িত্ব মনে করলে নেহায়েত ভুল হবে। যা সংশোধন করতে আবারো দুইশত বছর সময় লাগবে।