হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে চাইলে এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” এ ভিজিট করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. এর নিজস্ব ওয়েব সাইট www.darsemansoor.com এ ভিজিট করুন।
তারিখ : ১৪ - ফেব্রুয়ারী - ২০১৮
জিজ্ঞাসাঃ
জনৈক ইমাম সাহেবের মাঝে এমন কিছু ত্রুটি দৃষ্টিগোচর হয়, যার কারণে, তার পিছনে নামায পড়তে নামাযের বিশুদ্ধতা সম্বন্ধে সন্দেহ হয়। যেমনঃ তিনি তার বাবা-মায়ের মনে কষ্ট দেন। বড় ভাই-বোনদের সাথে মিথ্যা মামলা করে তাদের অপমান করেন। ৫/৬ টা বিয়ে করেছেন, বিবি-বাচ্চাদের খবর রাখেন না। বেপর্দা মেয়েলোকদের সাথে মেলামেশা করেন। এ ধরনের শরী‘আত পরিপন্থী অনেক কাজ করেন। এমতাবস্থায় উক্ত লোককে ইমাম হিসেবে বহাল রাখা বৈধ হবে কি? বা তার সম্পর্কে শরী‘আতের ফায়সালা কি?
জবাবঃ
শরী‘আতের দৃষ্টিতে ছেলা রেহেমী তথা আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা জরুরী। মিথ্যা মামলা করে কাউকে জেলে পাঠানো কবীরা গুনাহ। একসাথে চারটার বেশী বিবাহ করাও হারাম।
মিথ্যা বলা কবীরা গুনাহ ও মহাপাপ। বেগানা মহিলাদের থেকে পর্দা করা ফরয। তাদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করা ও অনর্থক কথাবার্তা বলা কবীরা গুণাহ। মোটকথা, এসব ঘটনা সহীহ হলে, উক্ত ইমাম ফাসিক। আর তার পিছনে নামায পড়া মাকরূহে তাহরীমী। কর্তৃপক্ষের উচিত, উক্ত ইমামকে সরিয়ে অন্য একজন নেককার, পরহেযগার ও হক্কানী আলিমকে ইমাম নিয়োগ করা। আর যদি উক্ত ইমামকে বরখাস্ত করলে ফিতনা সৃষ্টি হওয়ার আশংকা থাকে, তাহলে ঐ ইমামের পিছনে নামায পড়ে নিবে। তবে গুনাহের দায়-দায়িত্ব ঐ ইমাম ও তার সহযোগীদের উপর বর্তাবে। আর যদি আশে-পাশে ভাল ইমাম থাকে তাহলে সেখানে গিয়ে নামায পড়া ভাল। [প্রমাণ: সূরা আলে ইমরান: ৬১ # সূরা হজ্জ: ৩০ # বুখারী শরীফ, ১:১০ # মিশকাত শরীফ ২:২৭০ # ফাতাওয়া শামী ১:৫৫৯ # ফাতাওয়া দারুল উলুম ৩:৩০৪]