ইনশাআল্লাহ জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় দাওয়াতুল হকের মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬শে যিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী, ১৬ই জুন, ২০২৩ ঈসা‘য়ী, শুক্রবার (সকাল ৭টা থেকে শুরু হবে ইনশাআল্লাহ)।
হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে চাইলে এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” এ ভিজিট করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. এর নিজস্ব ওয়েব সাইট www.darsemansoor.com এ ভিজিট করুন।
ইনশাআল্লাহ আগামী ২২শ শাউয়াল, ১৪৪৪ হিজরী মুতাবিক, ১৩ই মে, ২০২৩ ঈসায়ী তারিখ রোজ শনিবার বাদ ‘আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসার পুরাতন ভবনের (সাত মসজিদের সাথে) নীচ তলায় ইফতা বিভাগের রুমে বাস্তব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হজ্জের ট্রেনিং দেয়া শুরু করবেন।
তারিখ : ০১ - ফেব্রুয়ারী - ২০১৮
জিজ্ঞাসাঃ
ইসলামী আইন ও ফাতাওয়া সংকলন সংক্রান্ত কোন কাজ কী জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়ার প্রধান মুফতী ও শাইখুল হাদীস, হযরত মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দামাত বারাকাতুম করেছেন? যদি তিনি করে থাকেন তাহলে তা কী? জানতে চাই। এই ব্যাপারে আমরা যারা সাধারণ মানুষ আছি তাদের ভূমিকা কী?
জবাবঃ
ইসলামী আইন ও ফাতাওয়া সংকলন সংক্রান্ত বিভিন্নমুখী তৎপরতা যুগে যুগে অব্যাহত ছিল এবং থাকবে। কোন বাতিল শক্তি কোনদিন এটাকে মিটাতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
হযরত মুফতী সাহেব দামাত বারাকাতুম এর ফাতাওয়াগুলো যারা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন তাদের মতে, বাংলাভাষায় যারা ফাতাওয়া প্রদান করেন তাঁদের মধ্যে হযরত মুফতী সাহেব দামাত বারাকাতুম এর অবস্থান অনন্য উচ্চতায়। খুঁটিনাটি বিষয়গুলোতে তাঁর বিশ্লেষণ একেবারে চুলচেরা। এমনকি তাঁর মাসআলা-মাসাইল বিষয়ক মজলিসের সাধারণ শ্রোতাগণও এমন সূক্ষ্মতর মাসাইল সম্পর্কে অবগত, যেগুলো বছরের পর বছর গবেষণা করার পরও বহু ফাতাওয়া-নবিসের আওতার বাইরে থেকে যায়। মূলত ফাতাওয়া প্রদানে অধিক সতর্কতা, স্পষ্টবাদিতা ও দূরদর্শিতার কারণে অন্যান্য বাংলাভাষী মুফতীদের তুলনায় তাঁর ফাতাওয়াগুলো অধিক বিশুদ্ধ এবং গ্রহণযোগ্য হয়ে থাকে।
ইসলামকে উম্মতের জন্য কিয়ামত পর্যন্ত টিকিয়ে রাখার মানসে ঐতিহ্যবাহী জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া এর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ফাতাওয়ার ধারাবাহিকতা চালু রাখা হয়। দীর্ঘ দিনের সে ফাতাওয়া গ্রন্থাগারে প্রকাশও পেয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ, প্রায় ১০০০ পৃষ্টার এই ফাতাওয়া দুই খন্ডে প্রকাশিত হয়ে গেছে। ২০০১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রকাশিত ফাতাওয়াগুলো এতে এসেছে।
খুব শিঘ্রই (ইনশাআল্লাহ) এই ফাতাওয়ায়ে রাহমানিয়া কিতাব ৫ খণ্ডে প্রকাশ হতে যাচ্ছে। আল্লাহর অশেষ মেহেরবাণীতে আল্লাহ তা‘আলা এটিকে এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কবুল করুন। আমীন।
সতর্কবাণী (সাধারণদের ভূমিকা)
স্মর্তব্য, ফাতাওয়ায়ে রাহমানিয়া একটি ফাতাওয়া সংকলন। এই সংকলন দ্বারা উদ্দেশ্য শরীয়তের সিদ্ধান্ত জেনে সে মুতাবিক আমল করা। এটা ফাতাওয়া দেয়ার জন্য নয়। সাবধান! এটি অধ্যয়ন করে কেউ যেন ফাতাওয়া দিতে আরম্ভ না করেন। ফাতাওয়া দেওয়ার জন্য শুধু একটি বাংলা গ্রন্থই নয় বরং আরবী কিতাবাদী অধ্যয়ন করাও যথেষ্ট নয়। শুধু কিতাব অধ্যয়ন করে ফাতাওয়া দেয়া করো জন্য জায়েয নেই। ফাতাওয়া দিতে হলে ইসলামী আইন বিষয়ে পারদর্শী হতে হয় এবং নির্ভরযোগ্য অভিজ্ঞ মুফতীর নিকট নিয়মতান্ত্রিকভাবে ফাতাওয়া শিখতে হয়। এভাবে ফিকাহ সংক্রান্ত স্বাভাবিক যোগ্যতা ও বুৎপত্তি অর্জনের পর ফাতাওয়া দেয়া যায়। অতএব, কোন পাঠক যেন ১/২ টি বাংলা ফাতাওয়ার গ্রন্থ দেখে ফাতাওয়া প্রদান করতে আরম্ভ না করেন। ফাতাওয়া যার দায়িত্ব, যিনি এর যোগ্য তার নিকটই ফাতাওয়ার জন্য শরণাপন্ন হওয়া আবশ্যক। ফাতাওয়া প্রদান একটি স্পর্শকাতর বিষয়। এর মানে আল্লাহ ও বান্দার মধ্যে মধ্যস্থ্যতা করা। যথাযথভাবে এর যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও এর আসনে সমাসীন হওয়া মানে নিজেকে ছুরি ছাড়া জবাই করা। আল্লাহ তা‘আলা হেফাযত করুন। আমীন!