হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে চাইলে এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” এ ভিজিট করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. এর নিজস্ব ওয়েব সাইট www.darsemansoor.com এ ভিজিট করুন।
তারিখ : ১৪ - ফেব্রুয়ারী - ২০১৮
জিজ্ঞাসাঃ
আমি ইস্তিঞ্জা করার পর উযু করে নামায পড়তে দাড়াই কিন্তু বারবার গ্যাস বের হওয়ায় আমি বারবার উযু করতে বাধ্য হই। কিন্তু সবসময় উযু করা সম্ভব হয় না। একবার উযু করার পর বারবার গ্যাস বের হয়। এতে আমার করণীয়?
জবাবঃ
যদি নামাযের ওয়াক্ত হওয়ার পর পূর্ণ এক ওয়াক্তই আপনার এই অবস্থা থাকে এবং এতটুকু সময় না পাওয়া যায়, যে সময়ে আপনি উক্ত ওয়াক্তের ফরজ ও ওয়াজিব নামায আদায় করতে পারেন, তখন আপনাকে শরী‘আতের ভাষায় মাযূর বলা হবে। আর মাযূরের হুকুম হল, প্রত্যেক নামাযের ওয়াক্ত হওয়ার পর নতুনভাবে উযু করে নামায আদায় করতে হবে এবং যতক্ষণ ঐ ওয়াক্ত থাকে, গ্যাস বের হওয়ার কারণে উযু নষ্ট হবে না। সুতরাং ওয়াক্তের মধ্যে ঐ উযু দিয়ে সব ধরনের নামায পড়তে পারবেন এবং এক ওয়াক্ত চলে গেলে ঐ ওয়াক্তের উযু দ্বারা অন্য ওয়াক্তের কোন নামায আদায় করা যাবে না। উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত মাসআলা তখন প্রযোজ্য হবে, যখন সঠিকভাবে জানা যায় বা দৃঢ় বিশ্বাস হয় যে, সত্যিই তার গ্যাস বের হয়ে থাকে। আর তা জানার পদ্ধতি হল আওয়াজ শুনতে পাওয়া বা দূর্গন্ধ পাওয়া বা অন্য কোনভাবে তার দৃ্ঢ় বিশ্বাস হওয়া যে, ঠিকই তার গ্যাস বের হয়। অন্যথায় যদি শুধু বাতাস বের হওয়ার মত মনে হয় এবং সন্দেহ হয় তাহলে শুধু সন্দেহের ভিত্তিতে এদিকে ভ্রুক্ষেপ না করা উচিত। বরং এই অবস্থায় সময় মত শান্তভাবে নামায পড়ে নিবেন। কেননা এ ধরনের অবস্থা কোন কোন সময় শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে যা নিছক ওয়াসওয়াসা বা কুমন্ত্রণা ছাড়া কিছুই নয়। কেননা, শয়তান মানুষকে আল্লাহ তা‘আলা থেকে দূরে সরানোর জন্য এ ধরনের অনেক কিছু করে থাকে। এখন আপনি আপনার অবস্থা অনুযায়ী মাযূর কিনা তা ঠিক করে নিন। বাস্তবে যে অবস্থা হয়, সে অনুযায়ী আমল করতে পারেন। [প্রমাণঃ মিশকাত শরীফ, ১:৪০ # আদ্দুরুল মুখতার, ১:৩০৬, হিদায়া, ১:৬৭-৬৯ ]