রমাযান ২০২২ এর ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করুন
জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে প্রকাশিত একাডেমিক ক্যালেন্ডার পেতে ক্লিক করুন।
হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে চাইলে এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” এ ভিজিট করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।
হযরতওয়ালা দা.বা. এর কিতাব অনলাইনের মাধ্যমে কিনতে চাইলে ভিজিট করুনঃ www.maktabatunnoor.com
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. এর নিজস্ব ওয়েব সাইট www.darsemansoor.com এ ভিজিট করুন।
তারিখ : ১৪ - ফেব্রুয়ারী - ২০১৮
জিজ্ঞাসাঃ
বর্তমানে আমাদের দেশে বিভিন্ন মাযার ও পীরের দরবারে জলসা ও মাহফিলের নামে যে গরু, ছাগল ও মহিষ ইত্যাদি খাজা-বাবা, অমুক বাবা, অমুক পীর বাবার নামে যহেব করে খানার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে বা ওরশ করা হয়ে থাকে, শরী‘আতের দৃষ্টিতে তার হুকুম কি?
জবাবঃ
কোন মাযারে বা কোন পীরের নামে বা তাদের মৃত্যু দিবসের কোন নির্দিষ্ট দিনে প্রতি বছর ওরশ করা, ঈসালে সাওয়াব বা শিরনী বিতরণ করা নাজায়িয এবং বিদ‘আত। তদুপরি কোন পীরের নামে, খাজা বাবার নামে অথবা আল্লাহ ব্যতীত অন্য যে কোন মানুষ বা প্রাণীর নামে জানোয়ার যবেহ করলে, তা খাওয়া সম্পূর্ণ হারাম। কারণ, গাইরুল্লাহর নামে কোন প্রাণী যবেহ করলে তা মুর্দার সমতুল্য। আর মুর্দা খাওয়া হারাম। সুতরাং আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে উৎসর্গকৃত প্রাণীর গোশ্ত খাওয়া হারাম হবে। এমনকি যবেহ করার সময় আল্লাহর নামের সাথে মিলিত করে অন্য কিছুর নাম উল্লেখ করলে সেটা খাওয়াও হারাম। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “মুর্দা, প্রবাহিত রক্ত, শুকরের গোশ্ত এবং যেসব প্রাণী আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে যবেহ করা হয়েছে, তা ভক্ষণ করা তোমাদের জন্য সম্পূর্ণ হারাম করা হলো।” [সূরা মায়িদা, আয়াতঃ ৩]
অন্য আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন- “যে সমস্ত প্রাণী আল্লাহর নামে যবেহ করা না হয়, অর্থাৎ যবেহ করার সময় আল্লাহর নাম উল্লেখ করা হয়নি, তার গোশ্ত তোমরা ভক্ষণ করো না।”
আয়াতদ্বয় দ্বারা বুঝা গেল গাইরুল্লাহর নামে যবেহ করলে, তার গোশ্ত খাওয়া মুসলমানদের জন্য সম্পূর্ণ হারাম। সুতরাং বিভিন্ন মাযারে বা পীরের নামে ওরশ করা অথবা তাদের নামে জানোয়ার যবেহ করে শিরনী বিতরণ করা সম্পূর্ণ নাজায়িয। এতে কোন মুসলমানের অংশগ্রহণ করা বৈধ নয়।
ويكره ان يذكر مع اسم الله شيءا غيره وان يقول عند الذبح اللهم تقبل من فلان- [الهدايت-3/432]
[প্রমাণঃ ফাতাওয়া শামী ৫:২১১# হিদায়া ৪:৪৩৬# ফাতাওয়া রশীদিয়া ১২৮]