হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে চাইলে এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” এ ভিজিট করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. এর নিজস্ব ওয়েব সাইট www.darsemansoor.com এ ভিজিট করুন।
তারিখ : ১৪ - ফেব্রুয়ারী - ২০১৮
জিজ্ঞাসাঃ
জনৈক আলেম কোন এক মসজিদে ইমামতী করেন। তাঁর স্ত্রী এক পর পুরুষের সাথে পালিয়ে গিয়ে কোর্টে বিবাহবদ্ধ হয়ে এক সপ্তাহ উভয়ে দিন যাপন করে। পরে মেয়ের অভিভাবকগণ যে কোন কৌশলে তাকে নিয়ে আসে। ইমাম সাহেব দ্বিতীয় স্বামীর তালাক ছাড়াই তাকে নিয়ে ঘর-সংসার করছেন। ফলে মুসল্লীগণ অসন্তুষ্ট হয়ে তাকে ইমামতী থেকে বরখাস্ত করে দেন। এমতাবস্থায় উক্ত ইমাম সাহেবের পিছনে নামায হবে কি-না? যদি না হয়, তবে তার ইমামতী শুদ্ধ হওয়ার কোন পন্থা আছে কি? এ ঘটনার পর জেনে শুনে ইমাম সাহেব সেই মেয়েকে নিয়ে ঘর-সংসার করাতে তার উপর এবং ঐ মেয়ের উপর শরী‘আতের কি বিধান প্রয়োগ হতে পারে?
জবাবঃ
বর্ণনানুযায়ী আলেম সাহেবের স্ত্রী তাঁরই আছে। স্ত্রী অন্যের সাথে বিবাহ বসার কারণে প্রথম বিবাহের কোন ক্ষতি হয়নি। যেহেতু মাওলানা সাহেবের থেকে তালাক জনিত কিছু প্রকাশ পায়নি, সেহেতু স্ত্রীর দ্বিতীয় বিবাহ সহীহ হয়নি। শরী‘আতের পরিভাষায় উক্ত বিবাহকে নেকাহে বাতিল বলা হয়। আর নেকাহে বাতিলের হুকুম হল- যার সাথে দ্বিতীয় বিবাহ হয়েছে, তার থেকে কোন প্রকার তালাক ও ইদ্দত ছাড়াই স্বামী-স্ত্রী ঘর-সংসার করতে পারে। এতে শর‘ই কোন অসুবিধা নেই।
অতএব স্ত্রীর উক্ত কার্যকলাপের জন্যে ইমাম সাহেব অপরাধী নয়। সুতরাং ইমাম সাহেবের ইমামতীতে শর‘ই দৃষ্টিকোণে কোন অসুবিধা নেই। তবে স্ত্রীকে খালিস তাওবা করিয়ে নেয়া ইমাম সাহেবের কর্তব্য।
আর যেহেতু স্ত্রীর ২য় বিবাহ নেকাহে বাতিল হয়েছে, সেহেতু উক্ত ব্যক্তির সাথে জীবন-যাপন সম্পূর্ণ হারাম হয়েছে। [প্রমাণ: সূরা নিসা ২৩, আদদুররুল মুখতার, ৩:৩১০, ফাতাওয়া দারুল উলূম, ৭:৪৬৬-৬৭, # ফাতাওয়া দারুল উলূম ১২:২৪৯]