জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে প্রকাশিত একাডেমিক ক্যালেন্ডার পেতে ক্লিক করুন।
হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে চাইলে এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” এ ভিজিট করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।
হযরতওয়ালা দা.বা. এর কিতাব অনলাইনের মাধ্যমে কিনতে চাইলে ভিজিট করুনঃ www.maktabatunnoor.com
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. এর নিজস্ব ওয়েব সাইট www.darsemansoor.com এ ভিজিট করুন।
তারিখ : ১৪ - ফেব্রুয়ারী - ২০১৮
জিজ্ঞাসাঃ
হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুসলমান এবং কাফেরের মধ্যে পার্থক্য হলো নামায। মুসলমান নামায পড়ে, কাফেররা নামায পড়ে না। এজন্য আমার বক্তব্য হলো। আমাদের মধ্যে এমন অনেক লোক আছেন যারা নামায পড়েই না এবং আরো যে কত জঘন্য হারাম কাজের সাথে জড়িত তার কোন ইয়ত্তা নেই। তাহলে হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ভাষ্য অনুযায়ী এরা কি কাফের?
জবাবঃ
কোন ব্যক্তি নামাযকে ফরয বিশ্বাস করার পরে যদি নামায তরক করে এবং অন্যান্য হারাম কাজকে হারাম জেনে দুনিয়ার কোন স্বার্থে হারাম কাজে লিপ্ত হয় তাহলে, সে ব্যক্তি কাফের হয় না। তবে এগুলোর জন্য সে মারাত্মক গুনাহগার এবং ফাসিক হবে।
আর উল্লেখিত হাদীসের অর্থ হল যে, কার্যক্ষেত্রে কাফের এবং মুসলমানের মধ্যে পার্থক্য হল নামায। কারণ, যে মুসলমান নামায পড়ে না বাহ্যিকভাবে তার মাঝে আর কাফেরের মাঝে সাধারণত: কোন পার্থক্য রইল না। তা সত্ত্বেও আক্বায়িদ সহীহ থাকলে তাকে কাফের বলা যাবে না। হ্যাঁ, কোন ব্যক্তি যদি নামাযকে অথবা ইসলামের কোন স্পষ্ট হুকুমকে সরাসরিভাবে অস্বীকার করে বা সন্দেহ করে বা ঠাট্টা করে বা আপত্তি করে তাহলে সে কাফেরের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। (প্রমাণঃ সূরা নিসা ৯৮# মিশকাত ৫৮# আযীযুল ফাতাওয়া ৮৫# ইমদাদুল আহকাম ১:১৩৩)
الصلواة فريضة محكمة لايسع تركها ويكفر جاحدها ولا يقتل تارك الصلوة عامدا غير منكر وجوبها بل يحبس حتى يحدث توبة...الخ (عالمكيرية:1/50)