জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে প্রকাশিত একাডেমিক ক্যালেন্ডার পেতে ক্লিক করুন।
হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে চাইলে এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” এ ভিজিট করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।
হযরতওয়ালা দা.বা. এর কিতাব অনলাইনের মাধ্যমে কিনতে চাইলে ভিজিট করুনঃ www.maktabatunnoor.com
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. এর নিজস্ব ওয়েব সাইট www.darsemansoor.com এ ভিজিট করুন।
তারিখ : ১৪ - ফেব্রুয়ারী - ২০১৮
জিজ্ঞাসাঃ
অনেক লোক বলে কালাম নব্বই হাজার । ত্রিশ হাজার যাহেরী ও ষাট হাজার বাতেনী । কথাটা কতটুকু সত্য ?
জবাবঃ
নব্বই হাজার কালামের কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা । কুরআন হাদীসে এর কোন প্রমাণ নেই । বস্তুতঃ নব্বই হাজার কালামের ব্যাপারটা হলো- ইসলামের নামে একটি ভ্রান্ত বাতিল ফেরকা আছে, তাদেরকে বলা হয় শি‘আ । তারা এ ধরনের বহু আজগুবি কথা হযরত আলী রাঃ এর নামে প্রচার করে থাকে যে, এ বাতেনী কালাম নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহী ওয়া সাল্লাম হযরত আলী রা. কে শিক্ষা দিয়েছিলেন । অথচ এগুলো একেবারেই মিথ্যা । হযরত আলীকে রা. তাঁর হায়াতে লোকেরা এ বিষয়ে জানতে চেয়েছিল । তিনি পরিষ্কারভাবে উত্তর দিয়েছিলেন যে, “যেই কুরআন সকলের নিকট আছে ঐ কুরআনের বাইরে তাঁর কাছে কোন কালাম নেই ।”
তাছাড়া আমাদের দেশে তাসাউফের ব্যবসায়ী একদল ভন্ড পীর-ফকির আছে, তারা এরূপ কথা বলে থাকে যে, আমাদের এসব কথা আলেমরা বুঝে না । কারণ তারা বাতেনী কালাম সম্পর্কে কিছুই জানে না। তাই আলেমগণ আমাদের বিরোধিতা করেন । মোদ্দাকথা বর্ণিত কথার কোন দলীল নেই ।
বাতিল ও ভন্ড লোকেরা তাদের মনগড়া মতবাদকে জাহিলদের মধ্যে চালু করার জন্য এ ধরনের অনেক আজগুবি কথার জন্ম দিয়েছে । [প্রমাণ: খইরুল ফাতওয়া ১ : ২৯৩]