ইনশাআল্লাহ জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় দাওয়াতুল হকের মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬শে যিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী, ১৬ই জুন, ২০২৩ ঈসা‘য়ী, শুক্রবার (সকাল ৭টা থেকে শুরু হবে ইনশাআল্লাহ)।
হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে চাইলে এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” এ ভিজিট করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. এর নিজস্ব ওয়েব সাইট www.darsemansoor.com এ ভিজিট করুন।
ইনশাআল্লাহ আগামী ২২শ শাউয়াল, ১৪৪৪ হিজরী মুতাবিক, ১৩ই মে, ২০২৩ ঈসায়ী তারিখ রোজ শনিবার বাদ ‘আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসার পুরাতন ভবনের (সাত মসজিদের সাথে) নীচ তলায় ইফতা বিভাগের রুমে বাস্তব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হজ্জের ট্রেনিং দেয়া শুরু করবেন।
তারিখ : ১৪ - ফেব্রুয়ারী - ২০১৮
জিজ্ঞাসাঃ
জুম‘আর নামাযের যাবতীয় শর্ত পাওয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে জুম‘আর নামায প্রতিটি ব্যক্তির উপর ফরযে আইন, ওয়াজিব, না সুন্নাত? বর্তমান অবস্থায় জুম‘আর নামাযের সমস্ত শর্ত পাওয়া যাওয়ার পরে স্বেচ্ছায় কেউ জুম‘আর নামায তরক করে যুহরের নামায আদায় করলে, সে ফরযে আইন তরককারী সাব্যস্ত হবে কি-না?
বর্তমান বাংলাদেশের সর্বত্র যেমন-শহর, বন্দর ও বাজার তথা গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত জুম‘আর নামায চালু আছে। এটা কি হানাফী মাযহাব অনুযায়ী সম্পূর্ণ জায়িয?
জবাবঃ
আমাদের জানা মতে, বাংলাদেশের অধিকাংশ স্থান এমন যেখানে শহরের বা বড়গ্রামের সংজ্ঞা প্রযোজ্য হয়। তাই আমরা বলব, আমাদের দেশের অধিকাংশ স্থানে জুম‘আ ফরয এবং যদি এমন কোন দুর্গম প্রত্যন্ত অঞ্চল পাওয়া যায়, যা শহর বা বড় গ্রামের সংজ্ঞায় পড়ে না, তাহলে তথায় জুম‘আ সহীহ হবে না। সেখানে যুহর পড়া জরুরী।
যে জায়গায় জুম‘আর শর্ত পাওয়া যায়, সে জায়গায় জুম‘আর নামায পড়া বালেগ পুরুষের জন্য ফরজে আইন। (প্রমাণঃ আদ-দুররুল মুখতার ২:১৩৭ পৃঃ)
ইচ্ছাকৃতভাবে জুম‘আ তরক করা হারাম। যে তরক করবে, সে ফাসিক। (প্রমাণঃ ফাতাওয়া দারুল উলূম ৫:১১৮ ,৫:৫৬পৃঃ)
জুম‘আ তরক করায় দরুন মারাত্মক গুনাহগার হবে। এমনকি হাদীস শরীফে উল্লেখ আছে- যে ব্যক্তি বিনা কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে তিন জুম‘আ না পড়ে, আল্লাহ তা‘আলা তার অন্তর মুনাফেকীর মহর মেরে দেন। (মিশকাত ১:১২১# ফাতাওয়া শামী ২:৩৭পৃঃ)
পূর্বে উল্লেখ হয়েছে যে, বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকা শহর বা বড় গ্রামের আওতায় পড়ে। সুতরাং, সেখানে জুম‘আ পড়া জরুরী।
বিঃদ্রঃ শহর ও বড় গ্রামের সংজ্ঞা অন্যত্র বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।