রমাযান ২০২২ এর ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করুন
জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে প্রকাশিত একাডেমিক ক্যালেন্ডার পেতে ক্লিক করুন।
হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে চাইলে এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” এ ভিজিট করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।
হযরতওয়ালা দা.বা. এর কিতাব অনলাইনের মাধ্যমে কিনতে চাইলে ভিজিট করুনঃ www.maktabatunnoor.com
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. এর নিজস্ব ওয়েব সাইট www.darsemansoor.com এ ভিজিট করুন।
তারিখ : ১৪ - ফেব্রুয়ারী - ২০১৮
জিজ্ঞাসাঃ
দেশের অনেক জায়গায় এই নিয়ম প্রচলিত আছে যে, বাচ্চাদেরকে খাত্না করানোর পরে সপ্তম দিনে আত্মীয়-স্বজনদের দাওয়াত দিয়ে খাওয়ানো হয় এবং ঘরবাড়ী প্রয়োজন অতিরিক্ত আলোকসজ্জা করা হয় এবং মেহমানদের থেকে কাপড়-চোপড়, টাকা-পয়সা হাদিয়া হিসেবে পাওয়া যায়। যদি এ রকম না করে, তাবে তাকে তিরস্কার করা হয়। শরী‘আতের দৃষ্টিতে এটা জায়িয কি-না?
জবাবঃ
এ ধরনের প্রথার অনুসরণ কাবীরা গুনাহের মধ্যে শামিল। কেননা- এর মধ্যে অনেক গুনাহের সমাবেশ ঘটেছেঃ
(ক) দাওয়াতের জন্য সপ্তম দিন নির্ধারিত করা বিদ’আতের অন্তর্ভুক্ত। কেননা- শরী‘আতে এরূপ নির্ধারণের কোন দলীল প্রমাণ নেই।
(খ) খাত্না করার সময় মানুষদেরকে দাওয়াত দেয়া বা মুসলমানীতে খাওয়ানো বিদ’আতের অন্তর্ভুক্ত। কারণ-শরী‘আতে এর কোন প্রমাণ নেই। তবে খাত্নার পরে যখন ঘা শুকিয়ে যায়, তখন বাচ্চাকে গোসল দিবে। তারপরে ইচ্ছা হলে, নিজের আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে নিজের শক্তি-সামর্থ মুতাবিক শরী‘আতের গন্ডির মধ্য থেকে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করার জন্য দাওয়াত দিয়ে খাওয়াতে পারবে। [প্রমাণঃ ইমদাদুল মুফ্তীন ২:২০১]
(গ) প্রয়োজনের অতিরিক্ত লাল-নীল বাতি জ্বালানো, ঘর-বাড়ী আলোক সজ্জা করা ইত্যাদি শরী‘আতের দৃষ্টিতে জায়িয নয়। কারণ- এটা অপচয় এবং একেবারেই অনর্থক বেহুদা কাজ। আল্লাহ তা‘আলা অপব্যয়কারীকে পছন্দ করেন না। [সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত ২৭ # শামী ২:২৪০ পৃঃ]