elektronik sigara

ইনশাআল্লাহ জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় দাওয়াতুল হকের মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬শে যিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী, ১৬ই জুন, ২০২৩ ঈসা‘য়ী, শুক্রবার (সকাল ৭টা থেকে শুরু হবে ইনশাআল্লাহ)।

হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে চাইলে এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” এ ভিজিট করুন।

হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।

হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. এর নিজস্ব ওয়েব সাইট www.darsemansoor.com এ ভিজিট করুন।

ইনশাআল্লাহ আগামী ২২শ শাউয়াল, ১৪৪৪ হিজরী মুতাবিক, ১৩ই মে, ২০২৩ ঈসায়ী তারিখ রোজ শনিবার বাদ ‘আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসার পুরাতন ভবনের (সাত মসজিদের সাথে) নীচ তলায় ইফতা বিভাগের রুমে বাস্তব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হজ্জের ট্রেনিং দেয়া শুরু করবেন।

কুরআন – হাদীসের প্রতি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য পোষণ করা

তারিখ : ১৪ - ফেব্রুয়ারী - ২০১৮  

জিজ্ঞাসাঃ

স্বামী বসে তা’লীমুদ্দিন বই পড়ছিল। এমন সময় স্ত্রী পাশের রুম থেকে এসে স্বামীর হাত থেকে বইটি ছিনিয়ে নেয় এবং বলে এই সব আজে-বাজে বই পড়েই মাথা খারাপ করে ফেলেছে। স্বামী বলে এ সব তো কুরআন হাদীসের বই। (উল্লেখ থাকে, পাশেই কুরআন-হাদীস ও অন্যান্য ধর্মীয় বই ছিল।) স্ত্রী বললো হ্যাঁ, ঐ সব বইয়ের কথাই বলছি। স্বামী উক্ত কথা না বলার জন্য বাধা দিল। সে দ্বিতীয় বার বলে–এভাবে সে ঐ কথা তিন বার বলে। প্রশ্ন হচ্ছে-

১. মেয়েটি মুসলমান থাকবে কী?

২. স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক ঠিক থাকবে কী?

৩. উক্ত অবস্থায় (অর্থাৎ তাওবা ব্যতীত) মেয়েটির যদি অন্য ছেলের সঙ্গে বিবাহ হয়, তবে বিবাহ বৈধ হবে কি?

৪. এতে মেয়ের বাবা–ভাইদের করণীয় কি?

উল্লেখিত থাকে যে, আজ দীর্ঘ ৩ (তিন) বৎসর যাবৎ স্বামী-স্ত্রীর সাথে কোন প্রকার সম্পর্ক ও যোগাযোগ নেই। এ সম্পর্ক এ কুরআন ও হাদীসের ফয়সালা কী?

(বিঃ দ্রঃ) মহিলা এ কথাটি বলার আগে মাঝে মাঝে নামায পড়ত।

 


জবাবঃ


কোন মুসলমানের জন্য কুরআন-হাদীসের প্রতি তুচ্ছ ভাব পোষণ করা কুফুরী কাজ। এতে ঈমান চলে যাবার আশংকা থাকে। সুতরাং নতুন করে ঈমান গ্রহন করা উচিত।


যেহেতু ঈমান নবায়ন করা উচিত সেহেতু বিবাহ দুহরিয়ে নেয়া উচিত। শুধু তওবা করাই যথেষ্ট নয়।


স্বামী পক্ষ থেকে তালাক ব্যতীত অন্যত্র বিবাহ বসতে পারবে না। [প্রমাণঃ বাদায়িউস সানায়ি, ২:২৬৮]


অভিভাবকদের কর্তব্য, একদিকে নিজের সন্তান (যাকে একেবারে ফেলে দেয়া যায় না), অপর দিকে ঈমানের ন্যায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় (একমাত্র যার উপর আখিরাতে সন্তানের মুক্তি নির্ভরশীল), এ উভয় দিক বিবেচনায় রেখে সংশোধনের জন্য শরী‘আত ‍নির্দেশিত সকল পন্থা অবলম্বন করা। প্রয়োজনে আলেম উলামাদের সাথে পরামর্শ করে তার ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।


গত তিন বৎসর যাবৎ উভয়ের সম্পর্ক না থাকায় স্বামীর পক্ষ থেকে কোন তালাক পড়েনি। এখন তাকে রাখতে চাইলে ঈমান নবায়ন করতে হবে এবং সতর্কামূলক বিবাহ দুহরিয়ে নিতে হবে। আর রাখতে না চাইলে তাকে তালাক দিয়ে দিবে।