elektronik sigara

ইনশাআল্লাহ জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় দাওয়াতুল হকের মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬শে যিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী, ১৬ই জুন, ২০২৩ ঈসা‘য়ী, শুক্রবার (সকাল ৭টা থেকে শুরু হবে ইনশাআল্লাহ)।

হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে চাইলে এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” এ ভিজিট করুন।

হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।

হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. এর নিজস্ব ওয়েব সাইট www.darsemansoor.com এ ভিজিট করুন।

ইনশাআল্লাহ আগামী ২২শ শাউয়াল, ১৪৪৪ হিজরী মুতাবিক, ১৩ই মে, ২০২৩ ঈসায়ী তারিখ রোজ শনিবার বাদ ‘আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসার পুরাতন ভবনের (সাত মসজিদের সাথে) নীচ তলায় ইফতা বিভাগের রুমে বাস্তব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হজ্জের ট্রেনিং দেয়া শুরু করবেন।

কুরআন তিলাওয়াতের সময় প্রচলিত ভুলসমূহ

তারিখ : ১৪ - ফেব্রুয়ারী - ২০১৮  

জিজ্ঞাসাঃ 

কুরআন তিলাওয়াতের সময় সাধারণত: কোন ভুলগুলো বেশী সংগঠিত হয়?

 


জবাবঃ


আমাদের দেশের তিলাওয়াতের মধ্যে সাধারণতঃ যেসব ভুল-ভ্রান্তি লক্ষ্য করা যায়, তা নিম্নে প্রদত্ত হল। তবে এ তালিকা দ্বারা কারো কিরা‘আত সহীহ্ হয়ে যাবে না। বরং সহীহ্ হওয়ার জন্য কোন অভিজ্ঞ ক্বারী সাহেবের নিকট মশক্ করা জরুরী।


কিরাআতুল কুরআনের প্রচলিত ভুল।


(১) হরফের মধ্যে- (ক)ز “য” এর মত নরম হবে, “ঝ” এর মত শক্ত নয়। (খ)ض  অনেকটা “জ” এর মত হবে, “দ” এর মত নয়। (গ) و উচ্চারণের সময় ঠোঁট গোল হবে। এই হরফে মদ্দের সময় ও শুরু থেকে ঠোট গোল হবে।


(২) সিফাতের মধ্যে- (ক) ض–এর استطا لت -এর প্রতি এর খেয়াল করা হয় না। (খ) ز س ص - এর সিফাত আদায় হয় না। (গ) حروف مستعليه -এর মধ্যে আকার উচ্চারণ করে যা ভুল। অবশ্য যের অবস্থায় إستعللاء কম হওয়া জরূরী।


(৩) হরকতের মধ্যে- (ক)  َ যবর –এ আকার উচ্চারণ হবে। যফলা (¨)-এর মত, টেড়া উচ্চারণ ভুল। (খ) ِ যেরকে দাবিয়ে উচ্চারণ করতে হয়, ে -এর উচ্চারণ ভুল (গ) ُপেশ উভয় ঠোট মিলার কাছাকাছি হবে, ো উচ্চারণ ভুল।


(৪) (ক) হরফে লীন- মারূফ পড়তে হয়  كيف(কাইফা) কে কায়ফা, لو (লাউ) কে লাও পড়া ভুল। (খ) নরম করে পড়তে হয়, ধাক্কা দেয়া ভুল। (গ) তাড়াতাড়ি পড়তে হয়, মদ করা ভুল।


(৫) মদ্দের ব্যাপারে- (ক) এক আলিফকে দুই হরকত পরিমাণ টান হবে, বেশী টানা ভুল। (খ) তিন বা চার আলিফ মদ্দের আওয়াজে তরঙ্গ সৃষ্টি করবে না আওয়াজ নাকে নিবে না।


(৬) গুন্নাহ ও ইখফা- উভয়টার পরিমাণ এক আলিফ। ইখফা অনেকটা বাংলা অনুস্বর (ং) -এর মত এবং গুন্নাহ "ন্ন” এর মত। অনেকে ব্যতিক্রম করে থাকে, যা ভুল।


(৭) ক্বলকলাহ- সামান্য ধাক্কা দিয়ে পড়তে হয়, বেশী ধাক্কা দেয়া ভুল। অবশ্য এসব অক্ষরে তাশদীদ থাকলে ওয়াকফের সময় জোরে ধাক্কা দেয়া হয়, যাতে করে অক্ষরটি দুবার উচ্চারিত হয়। যেমন- {ابي لهب و وتب}


(৮) ওয়াকফ এর অবস্থায়- (ক)ر পরিষ্কার শুনা যাবে, অধিকাংশেরই ر শুনা যায় না। (খ) তেমনিভাবে অনেকেরই ه   সাফ হয় না বরং নরম হামাযার মত হয়। আবার কেউ কেউ বেশী ধাক্কা দেয়, তাও ভুল। (গ) ذ  এর উপর ওয়াকফ করার সময় অনেকে ه এর মত আওয়াজ বের করে, যা ভুল। (ঘ)  غদাবায়ে উচ্চারণ করতে হয় কিন্তু বেশী দাবানো ভুল। (ঙ) তাশদীদ যুক্ত ر  কে ওয়াকফের সময় অনেকে একটি উচ্চারণ করে, যা ভুল, বরং ر কে মাখরাজের মধ্যে দেরী করে উচ্চারণ করবে, যাতে উভয় ر উচ্চারিত হতে পারে। উল্লেখ্য ر পুর ও বারীকের মধ্যে জরুরী অনেক কায়িদা আছে। (হারদুই এর কায়িদা দ্রষ্টব্য) (চ) ى মুশাদ্দাদ উচ্চারণে অনেকে ”জ” এর মত আওয়াজ করে যা ভুল।


(৯) লাহনে জলী- অনেকে ء কে ى এবং ى কে ء উচ্চারন করে যা লাহনে জলী যেমন- من ثلثي الليل- شانئك هو الابتر


(১০) হরূফে মুকত্বাআত- এর মধ্যে অনেকে তাজবীদের ফা, গুন্নাহ, ক্বলকলাহ, ইত্যাদি কায়িদা জারী করে না, যেমন-كهيعص   তেমনিভাবে অনেকে আস্তে কিরাআত পড়ার সময় তাজবীদের কায়িদা জারী করে না যা মারাত্মক ভুল।