হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে চাইলে এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” এ ভিজিট করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. এর নিজস্ব ওয়েব সাইট www.darsemansoor.com এ ভিজিট করুন।
তারিখ : ১৪ - ফেব্রুয়ারী - ২০১৮
জিজ্ঞাসাঃ
(ক) কাপড় পাক করার সহীহ তরীকা কি?
(খ) নতুন কাপড় ধৌত করা ব্যতীত পরিধান করে নামায আদায় হবে কি?
জবাবঃ
কাপড় বিভিন্ন ভাবে নাপাক হতে পারে। সুতরাং তা পাক পবিত্র করার তরীকাও ভিন্ন ভিন্ন। যদি কাপড়ে এমন নাপাকী লাগে যা দেখা যায়- যেমন রক্ত, মল বা এজাতীয় অন্য কিছু, তাহলে ধৌত করার মাধ্যমে উক্ত নাপাকী দূর হয়ে গেলেই কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে তিনবার ধৌত করার প্রয়োজন নেই। তবে সুন্নাত হল, প্রত্যেক বার নিংড়িয়ে তিনবার ধুয়ে নেয়া। আর যদি তিনবার ধৌত করার পরেও নাপাকী দূর না হয়, তবে তিনবারের অতিরিক্ত ধৌত করাও জরুরী।
উল্লেখ্য যে, আসল নাপাকী দূর হওয়ার পরও যদি নাপাকীর কোন আলামত বা চিহ্ন অবশিষ্ট থাকে এবং কষ্ট ব্যতীত তা দূর করা সম্ভব না হয়, তাহলে নাপাকীর উক্ত আলামত বা চিহ্ন দূর করার জন্য অতিরিক্ত কষ্ট করার প্রয়োজন নেই।
আর যদি নাপাকী দেখা না যায়, যেমন প্রস্রাব বা তরল জাতীয় অন্য কোন নাপাকী, তাহলে তিনবার ধৌত করে ভালকরে নিংড়ানোর দ্বারাই এ জাতীয় নাপাকী হতে কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে।
কাপড় পাক-পবিত্র করার উল্লেখিত পন্থা দুটি কেবল মাত্র সে সময়ের জন্য প্রযোজ্য, যখন নিশ্চিত রূপে জানা যায় যে, নাপাকী অমুক জায়গায় লেগেছে, কিন্তু নাপাকী কোথায় লেগেছে তা যদি জানা না যায়, তাহলে সম্পূর্ণ কাপড় ধৌত করা জরুরী।
(খ) যদি কোন ভাবে জানা যায় যে, নতুন কাপড়ে নাপাকী লেগে আছে, তাহলে উক্ত কাপড় পরিধান করে নামায আদায় করলে তা সহীহ হবে না। আর যদি নিশ্চিত রূপে জানা যায় যে, নতুন কাপড়ে নাপাকী নেই, তাহলে এরূপ নতুন কাপড় পরিধান করে নামায আদায় করলে তা সহীহ হবে।
তেমনি ভাবে নতুন কাপড়ে নাপাকী লেগে আছে, কি নেই, যদি কোনটাই জানা না থাকে, তাহলে উক্ত কাপড় পরিধান করে নামায আদায় করা জায়িয হবে । তবে ধৌত করে নেয়া উত্তম। [প্রমাণঃ ত্বাহাবী শরীফ, ৪১ # ফাতাওয়া আলমগীরী, ১:৪১ # ফাতহুল কাদীর, ১:১৬৮ # হিদায়া, ১:৭৭-৭৮]