elektronik sigara

ইনশাআল্লাহ জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় দাওয়াতুল হকের মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬শে যিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী, ১৬ই জুন, ২০২৩ ঈসা‘য়ী, শুক্রবার (সকাল ৭টা থেকে শুরু হবে ইনশাআল্লাহ)।

হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে চাইলে এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” এ ভিজিট করুন।

হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।

হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. এর নিজস্ব ওয়েব সাইট www.darsemansoor.com এ ভিজিট করুন।

ইনশাআল্লাহ আগামী ২২শ শাউয়াল, ১৪৪৪ হিজরী মুতাবিক, ১৩ই মে, ২০২৩ ঈসায়ী তারিখ রোজ শনিবার বাদ ‘আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসার পুরাতন ভবনের (সাত মসজিদের সাথে) নীচ তলায় ইফতা বিভাগের রুমে বাস্তব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হজ্জের ট্রেনিং দেয়া শুরু করবেন।

কথিত শেখ আহমদের ভিত্তিহীন ওসীয়াতনামার হুকুম

তারিখ : ১৪ - ফেব্রুয়ারী - ২০১৮  

জিজ্ঞাসাঃ

আমরা মুন্সিগঞ্জের রামপাল ইউনিয়নের লোক বড় সমস্যায় আছি। বড় সমস্যাটা একটি প্রচারপত্র নিয়ে। প্রচারপত্রটি নিম্নে উল্লেখ করা হল । এর সত্য মিথ্যা জানালে কৃতজ্ঞ হবো। প্রচার পত্রটি এই –

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

একটি জরুরী সংবাদ

নিজে পড়ুন ও অন্যকে পড়ে শোনান।

এটা একটা সত্য ঘটনা। মদিনা শরীফ থেকে শেখ আহম্মদ এই ওসীয়ত নামা লিখে পাঠিয়েছেন। তিনি জুম‘আর ‍দিন রাত্রে কুরআন মাজীদ পড়তে পড়তে হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়েন। স্বপ্নে তিনি ‍দেখতে পান যে, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহী ওয়া সাল্লাম তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে বলছেন যে, এক সপ্তাহের মধ্যে ৭,০০০ লোক মারা গেছেন। কিন্তু উহাদের মধ্যে একজনও ঈমানদার লোক পাওয়া যায়নি। তিনি আরো বলেন- এখন খুব খারাপ সময় এসেছে। এখন স্ত্রী স্বামীকে খেদমত করে না। মেয়েরা পর্দা মত চলাফেরা করে না। মা বাবা ও গুরুজনদের সম্মান করে না। ধনী লোকেরা গরীবদের দেখে না। দান খয়রাত করে না। যাকাত দেয় না। তিনি আরও বলেন, শেখ আহমদ! তুমি দুনিয়ার লোকদেরকে বলে দাও তারা যেন নেকী করে, নামায পড়ে, রোযা রাখে ও দান খয়রাত করে। কারণ কিয়ামত খুব কাছে। আকাশে একটা তারা দেখা দিবে, তখন সংগে সংগে তওবার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। কুরআন মাজীদের অক্ষর উঠে যাবে । সূর্য সোয়া গজ উপরে ‍থাকবে।হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহী ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে লোক এই ওসীয়ত নামা অন্য জনকে পড়ে শোনাবে, রোজ কিয়ামতের দিন আমি তার জন্য এর উসীলায় জান্নাতে জায়গা করে দিব এবং যে লোক এর বিপরীত চলবে, সে ‍খোদার রহমত হতে বঞ্চিত হবে। গরীব লোক এই পত্রকে ছাপিয়ে বিতরণ করলে, তার অনেক পূণ্য হবে। শেখ আহমদ বলেন যে, এই পত্রখানা যদি মিথ্যা হয়, তবে আমার মৃত্যু যেন কাফেরের মত হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহী ওয়া সাল্লাম বলেছেন- রোযা রাখ, নামায পড়, গরীবদের ভালবাস।


জবাবঃ


এ ‍ধরনের খাবের বা কথার কোন ভিত্তি নেই। এটা একদল ভন্ড লোকেরা মুসলমানদের ঈমান-আকীদা বিনষ্ট করার জন্য নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহী ওয়া সাল্লাম-এর নামে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এরা ইয়াহুদী ও খৃষ্টানদের এজেন্ট ছাড়া আর কিছুই নয়। বিগত অনেক বছর যাবত তারা বিভিন্ন সময় কম বেশ করে এ ধরনের লিফলেট বা প্রচারপত্র ছেপে আসছে। অনেকে সম্পদের লোভে বা মুসীবতের ভয়ে এ লিফলেট ছাপছে বা বিতরণ করছে।


কিন্তু আসলে এ সবই গাজাখোরী গল্প। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহী ওয়া সাল্লাম-এর উপর অর্পিত দায়িত্ব ‍তিনি তাঁর হায়াতেই সম্পন্ন করেছেন। স্বপ্নে বলার জন্য কিছু অবশিষ্ট রাখেন নি। এ থেকে মুসলমানদের দূরে থাকা উচিত। এ জাতীয় লিফলেট ছাপিয়ে বিতরণ করলে সওয়াব তো নয়, বরং গুনাহ হবে।