elektronik sigara

হযরতওয়ালা মুফতী সাহেব হুজুর দা.বা. আগামীকাল (০৩.০৩.২০২৩ ঈসায়ী) জুমু‘আর নামায পড়াতে খিলগাও বাজার মসজিদে আসবেন না।

রজব মাস শুরু হলেই প্রিয় নবী এই দু‘আ খুব বেশী করে পড়তেন: اَللّهُمَّ بَارِكْ لَنَا  فِيْ  رَجَبَ  وَشَعْبَانَ  وَبَلِّغْنَا رَمَضَانَ

ইনশাআল্লাহ জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় দাওয়াতুল হকের মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৪শে শাবান, ১৪৪৪ হিজরী, ১৭ই মার্চ, ২০২৩ ঈসা‘য়ী, শুক্রবার (সকাল ৭টা থেকে শুরু হবে ইনশাআল্লাহ)।

হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে চাইলে এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” এ ভিজিট করুন।

হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।

হযরতওয়ালা দা.বা. এর কিতাব অনলাইনের মাধ্যমে কিনতে চাইলে ভিজিট করুনঃ www.maktabatunnoor.com

হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. এর নিজস্ব ওয়েব সাইট www.darsemansoor.com এ ভিজিট করুন।

এক মাযহাবের লোকের জন্য অন্য মাযহাবের লোকদের ইমামতী

তারিখ : ১৪ - ফেব্রুয়ারী - ২০১৮  

জিজ্ঞাসাঃ

হানাফী মাযহাবের কোন লোক যদি অন্য মাযহাবের লোকদের ইমামতী করে এবং উক্ত মাযহাবের অনুসরণ করে যেমন, رفع يدين (হাত উঠানো) আওয়ায করে আমীন বলা ইত্যাদি, এমতাবস্থায় উক্ত ব্যক্তির জন্য ইমামতী করা সহীহ হবে কি-না ? অথবা হাত না উঠিয়ে হাত উঠানোর ভান করা যেমন, রুমালকে দুই হাত দিয়ে ঝাকি মারা, যাতে করে অন্য মাযহাবের মুক্তাদিরা বুঝতে পারে যে, رفع يدين করেছে। তাহলে এভাবে ইমামতী করা জায়িয হবে কি-না ? এবং উক্ত কাজটি ধোকার মধ্যে গণ্য হবে কি-না?

 


জবাবঃ


এক মাযহাবের অনুসারীগণ অন্য মাযহাবের অনুসারী লোকদের ইমামতী করতে পারে। উদাহরণতঃ হানাফী মাযহাবের কোন লোক শাফিয়ীদের ইমাম হতে পারে। অনুরূপ শাফিয়ী মাযহাবের লোক হানাফীদের ইমাম হতে পারে। ইমাম সাহেব তার মাযহাব অনুযায়ী নামায পড়াবেন। ইমামের জন্য মুক্তাদীর মাযহাবের দিকে লক্ষ্য করার কোন প্রয়োজন নেই। তাছাড়া এরূপ করার অনুমতিও নেই। তবে দু’চারটা পয়সার জন্য মুক্তাদীদের সন্তুষ্টিকল্পে এরূপ করা অর্থাৎ নামাযে রুমাল ঝাকি দেয়া নিঃসন্দেহে ধোকাবাজী ও গোনাহের কাজ। এর দ্বারা নামাযেরও ক্ষতি হয়।


ইমাম ও মুক্তাদী নিজ নিজ মাযহাব অনুযায়ী নামায আদায় করবেন। এতে শরী‘আতের দৃষ্টিতে কোনরূপ অসুবিধা নেই। এ শর্ত মেনে যারা ইমাম রাখেন তাদের ইমামতী করবে। নতুবা নিজের সহীহ মাযহাব বদল করে বা ধোকাবাজী করে ইমামতী করবে না।


উল্লেখ্য যে, কোন মাযহাব অনুযায়ী কোন বিষয় যদি উযু ভঙ্গের কারণের মধ্যে পড়ে, কিন্তু অন্য মাযহাব অনুযায়ী পড়ে না, সেক্ষেত্রে ইমাম সাহেব থেকে এ ধরনের কোন কিছু পাওয়া গেলে অন্য মাযহাবের অনুসারী মুক্তাদীদের নামায দোহরানো কর্তব্য। [প্রমাণঃ শামী ১:৫৬৩ পৃঃ # আহসানুল ফাতাওয়া পৃ: ৩:৩১৫ পৃ: # দারুল উলূম ৩:১৯৪ পৃ: ও ৩:২০৫ পৃ:]