হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে চাইলে এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” এ ভিজিট করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. এর নিজস্ব ওয়েব সাইট www.darsemansoor.com এ ভিজিট করুন।
তারিখ : ১৪ - ফেব্রুয়ারী - ২০১৮
জিজ্ঞাসাঃ
১নং প্রশ্নঃ সিজদাহ্ থেকে দাঁড়ানোর সময় ইমাম যদি আল্লাহ শব্দকে লম্বা করে না টানেন, তাহলে বসা ও দাঁড়ানোর মধ্যে মুক্তাদীগণ দ্বিধাদ্বন্দে পড়ে যান। এর জন্য কি করা উচিৎ?
২নং প্রশ্নঃ যারা দূর্বলতা বা মোটা হওয়ার কারণে রুকূ-সিজদা হতে তাড়াতাড়ি উঠা বসা করতে পারে না, তারা কিভাবে তাকবীর বলবে? কেননা তারা আল্লাহ শব্দ এক আলিফ টানলে নির্দিষ্ট রুকনে যাওয়ার আগেই তাকবীর বলা শেষ হয়ে যাবে?
জবাবঃ
১ নং- (ক) নামাযে এমনভাবে উদাসীন হওয়া আদৌ ঠিক নয় যে, কত রাকা‘আত পড়া হয়েছে তা ভুলে যাবে।
(খ) সকল মুক্তাদীই যদি তাকবীরে ইমামের লম্বা টানের উপর ভরসা করে বসে থাকে, তাহলে ইমাম কখনো ভুলে দাঁড়িয়ে বা বসে গেলে, লুকমা কে দিবে?
(গ) একদিকে গাফেল মুক্তাদীদের মন খুশি করার জন্য আল্লাহর পবিত্র নামকে বিকৃত করা, অপরদিকে আল্লাহকে খুশি করার জন্য তার নাম বিশুদ্ধ উচ্চারণ করা, আপনিই বলুন, কোন পথ অবলম্বন করা উচিত?
২ নং- উযরের কারণে যারা অতি ধীরে সিজদায় যায় বা সিজদা থেকে উঠে, তারাও আল্লাহু শব্দের মধ্যে এক আলিফ মদ্দ্ করবে। তারপর মাঝে তাকবীর শেষ হয়ে গেলে, কিছু না পড়া অবস্থায় সিজদায় যাবে, বা সিজদাহ্ থেকে উঠবে।