হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে চাইলে এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” এ ভিজিট করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. এর নিজস্ব ওয়েব সাইট www.darsemansoor.com এ ভিজিট করুন।
তারিখ : ১৪ - ফেব্রুয়ারী - ২০১৮
জিজ্ঞাসাঃ
(ক) অবিবাহিত ব্যক্তির পিছনে জুমু‘আর নামায পড়া যাবে কি? কিছু কিছু আলিম-উলামার ভাষ্য যে, অবিবাহিত লোকের পিছনে জুমু‘আর নামায পড়া মাকরূহ একথা কতটুকু সত্য?
(খ) যে সমস্ত লোক দাঁড়ি রাখে না তারা কি মসজিদ কমিটির সদস্য হতে পারে?
জবাবঃ
অবিবাহিত লোকের পেছনে জুমু‘আর নামায পড়া যাবে। শুধু অবিবাহিত হওয়ার কারণে তার পিছনে নামায মাকরূহ হবে এ কথা সঠিক নয়।
ইমাম সাহেব যদি কামভাব প্রবল না হয় এবং স্বাভাবিক থাকে, তাহলে তার জন্য বিবাহ করা জরূরী নয় বরং সুন্নাত। আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকলে এবং শারীরিক দিক দিয়ে সক্ষম থাকলে এ সুন্নাত আদায় করাতে দেরী করা ঠিক নয়। তবে সেই মুহুর্তে বিবাহ না করার কারণে তার জন্য ইমামতী করায় কোন অসুবিধা হবে না। [প্রমাণ: ফাতাওয়া মাহমূদিয়া ৭:৪০-৪১ # রহীমিয়া ৬:৩৫১]
(খ) যে ব্যক্তি দাঁড়ি রাখে না সে ফাসিক। ফাসিক ব্যক্তিকে কোন মসজিদ বা দীনী প্রতিষ্ঠানের কমিটির পরিচালক বা সদস্য না বানানো উচিত।
শরী‘আতের দৃষ্টিতে মসজিদ কমিটির সদস্য বা পরিচালক দীনদার, আমানতদার, শরী‘আতের পাবন্দ, পরহেযগার হওয়ার সাথে সাথে এতটুকু দীনী জ্ঞান ও যোগ্যতা সম্পন্ন হওয়া জরুরী, যার দ্বারা সে পরিচালনার কাজ শরী‘আত সম্মতভাবে আঞ্জাম দিতে সক্ষম হয়।
এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে মজলিসে শুরা বা বড়দের সাথে পরামর্শ করার গুণও তার মধ্যে যেন থাকে। উপরোক্ত গুণাবলী সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ থাকা সত্ত্বেও কোন ফাসিককে দীনী প্রতিষ্ঠানের মুতাওয়াল্লী বা পরিচালক বা কমিটির সদস্য বানানো জায়িয নয়। কারণ তারা শরী‘আতের বিধান জানে না। উলামায়ে কিরামের আযমত ও কদর বুঝে না। অফিস-আদালতের কর্মকর্তাগণ কর্মচারীদের সাথে যে আচরণ করেন তারা উলামাদের সাথে সে আচরণ করেন যা সম্পূর্ণ ভুল। [প্রমাণঃ ফাতাওয়া শামী ৪:৩৮০, # আলমগীরী ২ : ৪০৮, বুখারী শরীফ ২:১০৬১, # রহীমিয়া ২:১৬৫, # মাহমূদিয়া ১:৪৫২, # ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়াহ ১:১৫০]