elektronik sigara

ইনশাআল্লাহ জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় দাওয়াতুল হকের মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬শে যিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী, ১৬ই জুন, ২০২৩ ঈসা‘য়ী, শুক্রবার (সকাল ৭টা থেকে শুরু হবে ইনশাআল্লাহ)।

হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে চাইলে এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” এ ভিজিট করুন।

হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।

হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. এর নিজস্ব ওয়েব সাইট www.darsemansoor.com এ ভিজিট করুন।

ইনশাআল্লাহ আগামী ২২শ শাউয়াল, ১৪৪৪ হিজরী মুতাবিক, ১৩ই মে, ২০২৩ ঈসায়ী তারিখ রোজ শনিবার বাদ ‘আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসার পুরাতন ভবনের (সাত মসজিদের সাথে) নীচ তলায় ইফতা বিভাগের রুমে বাস্তব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হজ্জের ট্রেনিং দেয়া শুরু করবেন।

হামদ ও সালাতের পর…

হাকীমুল উম্মত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী রহ. ছিলেন গত শতাব্দীর মুজাদ্দিদ বা দীনী সংস্কারক। গভীর পর্যবেক্ষণ ও পর্যাপ্ত গবেষণার পর তিনি উম্মতের দীনী যিন্দেগীর কিছু ভুল-ভ্রান্তি চিহ্নিত করেন। অতঃপর সেগুলোর সংশোধনকল্পে এবং উম্মতের দীনী জীবনে পূর্ণতা আনয়নের লক্ষ্যে কয়েকটি কার্যক্রম হাতে নেন। উম্মতের সামনে দলীল-প্রমাণের আলোকে ঈমান, কুফর ও শিরক-বিদআতের পূর্ণাঙ্গ রূপ তুলে ধরা, তাজবীদ অনুযায়ী বিশুদ্ধ কুরআন তিলাওয়াত শিক্ষাদান, সকল আমলের পূর্ণাঙ্গ সুন্নাত তরীকা পেশ করে তার অনুসরণে উদ্বুদ্ধকরণ এবং মুনকারাত তথা হারাম, মাকরূহে তাহরীমী ও নাজায়িয কাজ সম্পর্কে অবহিতকরণ ছিল সেগুলোর অন্যতম। উলামায়ে কেরামের পরামর্শে তিনি এই মুবারক মেহনতের নাম দেন মজলিসে দাওয়াতুল হক। বস্তুত এটি ছিল একটি ইলহামী মেহনত যা আল্লাহ তা‘আলা হযরত থানবীর অন্তরে ঢেলে দিয়েছিলেন। হযরত থানবী রহ.এর জীবদ্দশাতেই তার খোলাফায়ে কেরাম নিজ নিজ অঞ্চলে দাওয়াতুল হকের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। এ ধারাবাহিকতায় আমাদের দেশেও হযরত থানবী রহ.এর এদেশীয় খলীফাবৃন্দ নিজ নিজ সাধ্য অনুযায়ী এই মহান খিদমত আঞ্জাম দিয়ে গেছেন। কিন্তু ব্যাপকভাবে এই মেহনতের সঙ্গে এদেশের উলামায়ে কেরামকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন হযরত হাফেজ্জী হুযূর রহ.। এক হজ্জের সফরে তিনি হযরত থানবী রহ. এর খলীফা ও নিজ পীরভাই মুহিউস সুন্নাহ শাহ আবরারুল হক হারদুয়ী রহ. এবং হযরত হারদুয়ী রহ. এর খলীফা আরেফ বিল্লাহ হযরত হাকীম মুহাম্মাদ আখতার সাহেব রহ.কে বাংলাদেশে এসে দাওয়াতুল হকের মেহনতকে ব্যাপকতা দানের আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে উক্ত হযরতদ্বয় এদেশে আগমন করেন। তখন হযরত হাফেজ্জী হুযূর রহ. তার মুরীদানকে এ দু’জনের নিকট বাইয়াত করিয়ে দাওয়াতুল হকের কর্মী হিসেবে তাদের হাতে তুলে দেন। এই দুই হযরতের পৃষ্ঠপোষকতায় বিশেষত হযরতওয়ালা হারদুয়ী রহ.এর প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনায় অল্পদিনের মধ্যেই এদেশের উলামায়ে কেরাম ও জনসাধারণের নিকট দাওয়াতুল হক ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। উলামায়ে কেরাম এ মেহনতকে মনেপ্রাণে আপন করে নেন। ফলে দেশের আনাচে কানাচে আজ মানুষের মধ্যে সুন্নাত অনুযায়ী দীন পালনের প্রতি কমবেশি যেটুকু আগ্রহই পরিলক্ষিত হচ্ছে, বলা যায় তার সিংহভাগই দাওয়াতুল হকের ফসল। বক্ষ্যমান রেসালাটি দাওয়াতুল হক বিষয়ক একটি বয়ানের লিখিত রূপ। মুহিউস সুন্নাহ হযরত হারদুয়ী রহ.এর মুবারক সুহবত থেকে দাওয়াতুল হক সম্পর্কে আমি যতটুকু অবগতি লাভ করতে সক্ষম হয়েছি তার সারসংক্ষেপ এখানে আলোচনা করা হয়েছে। এতে মজলিসে দাওয়াতুল হকের পরিচয়, উৎপত্তি, কার্যক্রম ও ক্রমবিকাশ তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি এর মাধ্যমে উলামায়ে কেরাম ও জনসাধারণ দাওয়াতুল হক সম্পর্কে অবগতি লাভ করতে পারবেন এবং দাওয়াতুল হক বাংলাদেশের মুহিব্বীন ও কর্মীবৃন্দ কাজের পদ্ধতি সম্পর্কে ওয়াকিফহাল হতে পারবেন। আল্লাহ তা‘আলা এ ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাকে ভরপুর কামিয়াব করুন। আমীন।