ইনশাআল্লাহ জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় দাওয়াতুল হকের মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬শে যিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী, ১৬ই জুন, ২০২৩ ঈসা‘য়ী, শুক্রবার (সকাল ৭টা থেকে শুরু হবে ইনশাআল্লাহ)।
হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে চাইলে এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” এ ভিজিট করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. এর নিজস্ব ওয়েব সাইট www.darsemansoor.com এ ভিজিট করুন।
ইনশাআল্লাহ আগামী ২২শ শাউয়াল, ১৪৪৪ হিজরী মুতাবিক, ১৩ই মে, ২০২৩ ঈসায়ী তারিখ রোজ শনিবার বাদ ‘আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসার পুরাতন ভবনের (সাত মসজিদের সাথে) নীচ তলায় ইফতা বিভাগের রুমে বাস্তব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হজ্জের ট্রেনিং দেয়া শুরু করবেন।
লেখক: মুফতী মনসূরুল হক দা.বা. বিভাগ : বই ও আর্টিকেল তারিখ : ১৯ - মার্চ - ২০১৮
হামদ ও সালাতের পর, আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতিকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করে সমগ্র বিশ্ব জগতকে তাদের সেবায় নিয়োজিত করেছেন। মানব সৃষ্টির একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে, ইবাদত করা। এই ইবাদত তথা সহীহ ঈমান ও
নেক আমলের মধ্যেই মানুষের শান্তি ও কল্যাণ নিহিত। আর বিরুদ্ধাচরণের পরিণতিতে বেইজ্জতি, ধ্বংস ও জাহান্নাম অনিবার্য। মানব সৃষ্টির সূচনা লগ্নে আল্লাহ তা‘আলা নিজ পরিচয় ও কুদরতের বর্ণনা দিয়ে তাদের থেকে নিজের প্রভুত্বের স্বীকারোক্তিমূলক অঙ্গীকার নেয়ার পর দুনিয়াতে তা পূনরায় স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য যুগে যুগে প্রেরণ করেছেন অসংখ্যা নবী, রাসূল ও পয়গাম্বর(আ)। সকল পয়গাম্বরের মৌলিক শিক্ষা ছিল এক ও অভিন্ন। তাঁরা সকলেই এক আল্লাহর প্রতি ও হাশর-নাশরের প্রতি ঈমান এবং নেক আমল ইত্যাদি বিষয়ে দাওয়াত দিয়েছেন।
ঈমান ও আমল উভয়টা মানুষের ইখতিয়ারভূক্ত বিষয়। সুতরাং, মেহনত-মুজাহাদা ও কষ্ট-সাধনার মাধ্যমে উক্ত মহামূল্যবান দু’টি বিষয়কে পরিপূর্ণভাবে লাভ করা এবং তা খুব মজবুত ও দৃঢ় করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্যে অপরিহার্য।
উল্লেখ্য যে, আমলের চেয়ে ঈমানের গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ, শুধু সহীহ ঈমান দ্বারাও জান্নাত লাভ হবে (যদিও তা প্রথম অবস্থায় না হোক), কিন্তু সহীহ ঈমান ব্যতীত হাজারো আমল একেবারেই মূল্যহীন। যথার্থ ঈমান ব্যতীত শুধু আমল দ্বারা নাজাত পাওয়ার কোন সুরত নেই।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বর্তমানে চরম ফিতনার যুগে অনেক মানুষ সকালে মু‘মিন থাকলেও বিকালে ঈমানহারা হচ্ছে, আবার কেউ বিকালে মু‘মিন থাকলেও সকালে নষ্ট করে ফেলেছে। কিন্তু মানুষের ঈমান-আকীদা সংরক্ষণের জন্য যথার্থ ব্যবস্থা সমাজে নেই। অথচ বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার দরুন এতদসম্পর্কিত অধিকসংখ্যক কিতাবপত্র রচনা ও আলোচনা-পর্যালোচনা অব্যাহত থাকা ছিল একান্ত জরুরী।