elektronik sigara

ইনশাআল্লাহ জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় দাওয়াতুল হকের মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬শে যিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী, ১৬ই জুন, ২০২৩ ঈসা‘য়ী, শুক্রবার (সকাল ৭টা থেকে শুরু হবে ইনশাআল্লাহ)।

হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে চাইলে এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” এ ভিজিট করুন।

হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য এ্যাপের “সর্বশেষ সংবাদ” থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।

হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. এর নিজস্ব ওয়েব সাইট www.darsemansoor.com এ ভিজিট করুন।

ইনশাআল্লাহ আগামী ২২শ শাউয়াল, ১৪৪৪ হিজরী মুতাবিক, ১৩ই মে, ২০২৩ ঈসায়ী তারিখ রোজ শনিবার বাদ ‘আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসার পুরাতন ভবনের (সাত মসজিদের সাথে) নীচ তলায় ইফতা বিভাগের রুমে বাস্তব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হজ্জের ট্রেনিং দেয়া শুরু করবেন।

আজীবন সদস্য হওয়ার নিয়মাবলী ও উপকারিতা

নিয়মাবলী

১. কমপক্ষে এক লক্ষ টাকা এককালীন অথবা এক বছরের মধ্যে কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করলে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হওয়া যায়।

২. আর প্রতি বছর তিন হাজার টাকা করে দিলে বা প্রতি মাসে কমপক্ষে পাচশ টাকা করে দিলে সাধারণ আজীবন সদস্য হওয়া যায়।

৩. সদস্য হতে চাইলে নির্ধারিত ফরম পূরণ করে জমা দিতে হয়।

৪. সদস্য হওয়ার পর জামি‘আর দফতরে সংরক্ষিত বিশেষ রেজিস্টারে সদস্যের নাম তালিকাভূক্ত করে সদস্য নং ও প্রয়োজনীয় তথ্য সম্বলিত সম্মাননা “সনদপত্র” দেয়া হয়।

৫. শুধুমাত্র সাধারণ দানের টাকা আজীবন সদস্য চাঁদা হিসাবে গ্রহণ করা হয়। যাকাত, ফিতরা, মান্নত ও কাফফারার টাকা এ ফান্ডে গ্রহণ করা হয় না। (লিল্লাহ ফান্ডে গ্রহণ করা হয়।)

৬. বৎসরে একবার সকল সদস্যকে দাওয়াত করে আপ্যায়ন করা হয় এবং বার্ষিক আয়-ব্যয়ের রিপোর্ট পেশ করত: জামি‘আর কল্যানে তাদের মূল্যবান পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করা হয়।

৭. বিশেষ কোন প্রয়োজন দেখা দিলে বছরের যে কোন সময় পরামর্শের জন্য আহবান করা হয়।

 

উপকারিতা

১. সদস্যদের কেউ রোগ-শোক, বিপদ-আপদে পতিত হলে এবং কোন মাধ্যমে সংবাদ পৌঁছালে ছাত্রদেরকে নিয়ে দু‘আ ও খতমের ব্যবস্থা করা হয়।

২. কোন সদস্যের ইন্তিকাল হয়ে গেলে এবং সংবাদ দিলে সুন্নত তরিকায় তার গোসল ও কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।

৩. মাদরাসার যখনই কোন মাহফিল হয় তখন যারা হায়াতে আছেন তাদের সার্বিক কল্যানের দু‘আ করা হয় আর যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের  জন্য মাগফিরাতের দু‘আ করা হয়।

৪. সদস্য হওয়ার সুবাদে মাদরাসায় যাতায়াত করলে আল্লাহ তা‘আলার মেহেরবানীতে ইলম ও দ্বীনদারী বৃদ্ধি পাবে, পৃথিবীতে ফরযে কিফায়া পরিমান ইলম বাকী থাকবে এবং আল্লাহ তা‘আলার সাথে মুহাব্বত বেড়ে যাবে।

৫. দ্বীনী কাজে সহযোগিতা করার কারণে বিপদে-আপদে পতিত হলে আল্লাহ তা‘আলার সাহায্য পাওয়া যাবে এবং আল্লাহ তা‘আলা  সর্বাবস্থায় দৃঢ়পদ রাখবেন। -(সূরা মুহাম্মদ: ৭)

৬. কুরআনের ব্যাপারে উদাসীন লোকদের ব্যাপারে কুরআনে করীমে এসেছে যে, নবী (আ.) তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন। (সূরা ফুরকান: ৩০) মাদরাসা কায়িমে সহযোগিতাকারীগণ এই অভিযোগ থেকে মুক্ত থাকবেন, ইনশা-আল্লাহ।

৭. সদাকায়ে জারিয়া হিসাবে ক্বিয়ামত পর্যন্ত আমল নামায় সওয়াব পৌঁছতে থাকবে।

৮. প্রতি দিন বাদ আসর বিশেষ খতম পড়ে খায়ের ও বারাকাতের দু‘আ করা হবে।

৯. আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন: “তোমরা নেক লোকদের সাথে থাকো”। (সূরা তওবা:১১৯) এই আয়াতের উপর আমল হবে এবং নেক লোকদের সাথী হয়ে মৃত্যুবরণ করার সুযোগ হবে।

১০. আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন: “তোমরা নেকী ও তাকওয়ার কাজে একে অপরকে সহযোগিতা করো”। (সূরা মায়িদা: ২) এই আয়াতের উপর আমল হবে।

সর্বোপরি জামি‘আর ছাত্র-শিক্ষক, স্টাফ-কর্মচারী, পরিচালনা পরিষদ, সাধারণ পরিষদ এবং আজীবন সদস্য সকলে মিলে একটি পরিবার হবে। যাদের পরস্পরের মাঝে গড়ে উঠবে আল্লাহর জন্য মুহাব্বত ও ভালবাসার অটুট বন্ধন। একে অপরের সুখে-দুঃখে সর্বাবস্থায় পাশে থাকবে এবং “যে যাকে মুহব্বত করে কিয়ামতে সে তার সাথে থাকবে” (মুসলিম হাঃ নং ২৬৪০)- এই হাদীসের আলোকে আশা করা যায় যে, আল্লাহওয়ালাদের সুহবতের ওসীলায় জান্নাতেও তাদের সাথে থাকার সুযোগ হবে, ইনশা-আল্লাহ।

নিবেদক

মুফতী মনসূরুল হক

প্রধান মুফতী ও প্রধান মুরুব্বী

জামি‘আ ইবনে মাসউদ রাযি.